আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিজেপি সংগঠক মানেই নারীদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন। তারা মনে করেন, নারীরা একটি গণ্ডীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে ভালো হয়। এমনই দাবি করলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে গিয়েছেন। সেখানেই ভারতীয় প্রবাসী জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণে বিজেপি এবং আরএসএসকে তুলোধনা করেছেন তিনি। 

 

 

লোকসভার বিরোধী দলনেতা জানান, বিজেপি এবং আরএসএস প্রচার করে থাকে এক দেশ এক জাতির কথা। কিন্তু ভারত একেবারেই তা নয়। ভারতে রয়েছে বহু ভাষা, বহু জাতি। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কথাও তোলেন তিনি। বলেন, দেশের মানুষের কাছে বিজেপি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। বিজেপি এইবার লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ভোটের আগে যে ভয় বিজেপি দেখিয়েছিল ভোট মিটতেই তা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে।

 

 

কংগ্রেস এ বারের ভোটে যথেষ্ট ভালো ফল করেছে বলেও তিনি আশাবাদী। এরপরই তিনি বিজেপির এবং আরএসএসের মেয়েদের প্রতি ধারণা কেমন তা বর্ণনা করতে শুরু করেন। বলেন, বিজেপি একটি নারীবিদ্বেষী দল। তারা মনে করে মেয়েদের বাড়িতে থাকা ভালো, ঘর-কন্নার কাজ, রান্না-বান্না এসব করা উচিত। শুধু তাই নয় তাদের কোনও কাজ বা পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাড়ির কর্তাদের অনুমতি নেওয়া উচিত এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।  

 

 

এদিন ভারতে কর্মসংকটের কথা উল্লেখ করেন। চীনের সঙ্গে তুলনাও টানেন। বলেন, ভারতে বেকারত্বের হার অত্যন্ত বেশি। জনসংখ্যা বেশি হলেও সেক্ষেত্রে চিনে কিন্তু কর্মসংস্থান রয়েছে। ১৯৪০-৫০ এর দশকে আমেরিকা সবকিছু তৈরি করা শুরুর পর সেখান থেকে সব দেশে পণ্য যেত। পরবর্তী সময়ে চীন উৎপাদন করতে শুরু করে। সেখানে কর্মসংস্থান শুরু হয়। এখন বাজার বেশিরভাগটাই চীনের দখলে। ভারতে সেটা হচ্ছে না।

 

 

বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, কংগ্রেসের নেতা এখন চীনের হয়ে ব্যাট করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বক্ত়ৃতার সারমর্ম ভারতবিরোধী। শুধু তাই নয়, এটা নারীদেরও বিরুদ্ধে। তাদের অসম্মান করা হয়েছে। এই কারণেই ভারতের জনগণ ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪  সালে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আগামীদিনেও ২০২৯  সালে তারা কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকেই বেছে নেবে।