আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী শনিবার দাবি করেছেন, ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কারচুপি করা হয়েছিল। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ 'ম্যাচ-ফিক্সিং মহারাষ্ট্র' শিরোনামে তাঁর লেখা পোস্ট করে, রাহুল কীভাবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে তার ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছেন। নাম দিয়েছেন ‘কিভাবে নির্বাচন চুরি করা যায়?’ রাহুলের এই অভিযোগের পরে পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপিও।
এক্স হ্যান্ডলে রাহুল লিখেছেন, "২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রকে লুট করার নীলনকশা।" তাঁর দাবি, বিজেপি এই বছরের শেষের দিকে নির্ধারিত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কারচুপি করতে চাইছে।
রাহুল দাবি করেছেন, বিজেপি মহারাষ্ট্র নির্বাচনের ফলাফলে মনের মতো করার জন্য পাঁচ ধাপের একটি বিস্তারিত প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছে। মোদী সরকার ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য সংশোধিত আইন এনেছিল। নতুন সংশোধনীতে কমিশনার নির্বাচন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা থাকবেন। রাহুলের প্রশ্ন, কেন প্রধান বিচারপতির বদলে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নির্বাচন কমিটিতে রাখা হল।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে রাহুলের অভিযোগ, ভোটার তালিকাগুলি ভুয়ো ভোটার দিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ভোটাদানের হার কীভাবে ৭.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেল?
শেষ দু’টি পয়েন্টে, রাহুল দাবি করেন যে বিজেপি ‘যেখানে জয়ের প্রয়োজন ঠিক সেখানেই জাল ভোটদান করিয়েছে’ এবং ‘প্রমাণ লোপাট করিয়েছে’।
রাহুলের এই দাবির পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভোটারদের মনে সন্দেহ ও মতবিরোধের বীজ বপন করার বারবার প্রচেষ্টা রাহুলের ইচ্ছাকৃত।‘ অমিতের প্রশ্ন, কংগ্রেস যেখানে জিতবে সেখানে ভোট সুষ্ঠ হয়েছে এবং হারলেই ষড়যন্ত্র?
