আজকাল ওয়েবডেস্ক: এনএসজি-র ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডো হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে হত্যার মামলায় কোনও রকম ছাড় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। পণের চাহিদার বলি হয়ে মারা যাওয়া স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কমান্ডো। তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুরে অংশগ্রহণ আপনাকে আইনি দায় থেকে মুক্তি দিতে পারে না।”

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানিতে অভিযুক্ত কমান্ডোর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এনএসজির সদস্য এবং “অপারেশন সিঁদুর”-এ অংশ নিয়েছিলেন। 

গত মে মাসের এই অপারেশন ছিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনার পালটা প্রতিক্রিয়া। আদালতের কাছে তাই অনুরোধ ছিল, তাঁকে পুলিশি আত্মসমর্পণ থেকে রেহাই দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দেন, “এটা আপনার দায়মুক্তির কোনও কারণ হতে পারে না। ...অভিযোগ অনুযায়ী, যে নৃশংস ভাবে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই ছাড়যোগ্য নয়।"

এই মামলায় অভিযুক্ত কমান্ডোর বিরুদ্ধে ৩০৪বি ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে, যা পণ-সংক্রান্ত মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কমান্ডোর আইনজীবী দাবি করেন, আসল অভিযোগ একটিই— পণ হিসেবে একটি মোটরবাইকের দাবি। এবং সেই অভিযোগ উঠেছে নিহত স্ত্রীর আত্মীয় দুই সাক্ষীর কাছ থেকে, যাঁদের বক্তব্যে বহু অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে দাবি তাঁর।

তবুও বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন-সহ দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হাইকোর্ট আগেই এই আবেদনে অভিযুক্তকে রেহাই দেয়নি, এবং এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টও আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে নারাজ। আদালত এদিন জানায়, “আমরা আত্মসমর্পণ থেকে ছাড়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি। তবে বিশেষ অনুমতি পিটিশনের প্রেক্ষিতে প্রসিকিউশনের কাছে ছ'সপ্তাহের মধ্যে জবাবদিহি চাওয়া হল।” 

অভিযুক্ত কমান্ডোর আইনজীবী সময় চাওয়ায় আদালত আত্মসমর্পণের জন্য দু'সপ্তাহ সময় দেয়।