আজকাল ওয়েবডেস্ক: মনের মানুষ সঙ্গে থাকলে তাঁর সঙ্গে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। কোনও ঝড়ঝাপ্টাই সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে না। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুরে। জেলার ঝাড়োলের বদরানা গ্রামের এক দম্পতির ৫২ বছর সংসার করেছেন। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্যের সমাপ্ত ঘটল মাত্র আট ঘণ্টায়। স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেলেন স্ত্রী। দু'জনের মৃতদেহ একসঙ্গে বার করা হল বাড়ি থেকে। শেষকৃত্য করা হল একই চিতায়।
গ্রামের বাসিন্দা ৭৪ বছর বয়সী সুখলাল লোহার বেশ কয়েক বছর ধরে হাঁপানি রোগে ভুগছিলেন। গত সপ্তাহ ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মারা যান সুখলাল। স্বামীর মৃত্যুশোক সইতে পারেননি স্ত্রী পার্বতী দেবী। মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে অজ্ঞান ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান পার্বতী দেবী। অনেকেরই ধারণা তিনি স্বামীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে, ঢোল বাজিয়ে ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি অনুসরণ করে গ্রামের মানুষ একসঙ্গে দু'জনের শেষকৃত্য করেন। শত শত গ্রামবাসী এই আবেগঘন মুহূর্তটির সাক্ষী ছিলেন। একই চিতায় দু'জনেরই দাহ করা হয়, যা ভালোবাসা এবং ঐক্যের এক অনন্য উদাহরণ। গ্রামের প্রবীণরা এবং পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুখলাল এবং পার্বতী দেবীর বিবাহিত জীবন ছিল ভালবাসা, নিষ্ঠা এবং সহযোগিতায় পরিপূর্ণ। তাঁদের পারস্পরিক স্নেহ গ্রামের সকলের কাছে একটি উদাহরণ ছিল। পুরো গ্রাম তাদের মৃত্যুতে একসাথে শোকাহত।
