আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বাইয়ে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা।  ডিওনার এলাকায় ঘটেছে ঘটনাটি। একজন ভাড়াটে তাঁর বাড়িওয়ালাকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘটে ২১ জুলাই। খবর অনুযায়ী,  বাড়িভাড়া নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়। এহেন উত্তপ্ত অবস্থায় ভাড়াটে ব্যক্তি রাগের বশে গাড়ির চাকা ঘোরান বাড়িওয়ালার দিকে। ২৩ জুলাই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।

সূত্রে মারফত খবর, এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার জেরে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করে বলেন, 'ভাড়াটে মারাঠি বলেন না হয়তো'। মহারাষ্ট্রে চলমান ভাষাগত উত্তেজনার দিক ইঙ্গিত করেছেন। রাজ্যজুড়ে মারাঠি ভাষা বনাম অন্যান্য ভাষা ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। কিছু রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে একটি আঞ্চলিক দল, বারবার দাবি জানিয়ে এসেছে যে সাইনবোর্ড ও সকল সরকারি-বেসরকারি যোগাযোগে মারাঠি ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হোক।

জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে এমনকি এক ব্যক্তি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবটের কাছে প্রশ্ন করেন, কেন বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের মধ্যে এমন চরম সংঘাত হয় এবং এই ধরণের ঘটনার কোনও সমাধান আছে কি না। চ্যাটবটটি উত্তরে জানায়, এমন চরম সংঘাত সাধারণত দেখা দেয় আর্থিক চাপ, যেমন ভাড়া বৃদ্ধি, চাকরি হারানো, ক্ষমতার লড়াই, দুর্বল যোগাযোগ এবং আইনি ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে। ভারতে এই সমস্যা আরও তীব্র হয়, কারণ অধিকাংশ ভাড়ার চুক্তি হয় অপ্রাতিষ্ঠানিক। শহরে মানুষের ভিড় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ধরণের উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

চ্যাটবটটি আরও জানায়, বিশ্বজুড়ে এ ধরণের প্রতিহিংস ঘটনা খুব বেশি ঘটে না। তবে বড় শহরগুলোতে সমস্যা সম্প্রতি বাড়ছে। ভারতের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যা সমাধানে শক্তিশালী আইন, যেমন একটি সাম্প্রতিক প্রস্তাবিত ভাড়া আইন, কার্যকর হলে তা সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ স্ত্রী'কে অন্য পুরুষের সঙ্গে গেস্ট হাউজ রুমে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরলেন স্বামী, তারপর......

এ রকমই আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল ২০২২ সালে দিল্লির মঙ্গোলপুরীতে। সেখানে একজন ভাড়াটে তাঁর বাড়িওয়ালাকে হত্যা করে। মরদেহের সঙ্গে ছবি তোলে। এরপর বাড়িওয়ালার যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, অভিযুক্ত এক যুবক। তিনি বিহারের সমসতিপুর জেলার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের হাত থেকে বাঁচতে তিনি মেট্রো এবং ট্রেনের মাধ্যমে হরিয়ানার রোহতকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাঁর গতিবিধি অনুসরণ করে তাঁকে পাকড়াও করে। প্রায় দুশো পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে মঙ্গোলপুরী শিল্পাঞ্চল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ 

প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে ফের 'হিন্দি মারাঠি' দ্বন্দ্ব। ঘাটকোপারে এক মহিলার সঙ্গে ভাষাগত দ্বন্দ্বের এই ঘটনাটি ঘটে। ফলস্বরূপ শহরে ফের ভাষা কেন্দ্রিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন সঞ্জিরা দেবী নামের এক মহিলা। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এহেন অবস্থায় কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মুখোমুখি হন। দু পক্ষের একজন অপরজন কে  হিন্দি ও মারাঠি বলতে বলায় বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। ঘটনা ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

আরও পড়ুনঃ টানা একবছর লাগাতার ধর্ষণ, এরপর জ্যান্ত কবর! ওড়িশায় তরুণীর সঙ্গে যা ঘটল শুনলে গা শিউরে উঠবে...