আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্রেকফাস্টের মাঝেই লুটিয়ে পড়েছিল ছ'মাসের শিশু। পুলিশকে জানানোর আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল। এক মাস পর ফাঁস ঘাতক মায়ের কীর্তি। সমকামী বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ছ'মাসের সন্তানকে নির্মমভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। অবশেষে ঘাতক মা ও তার সমকামী বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। রবিবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্তানকে খুনের অভিযোগে মা ও তার সমকামী সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দিন কয়েক আগে সন্তানের খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বাবা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণগিরি জেলায়। গত মাসে ব্রেকফাস্ট করার সময়েই ছ'মাসের এক শিশুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তার বাবার অভিযোগ, সন্তানের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে কেউ বা কারা পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে। ঘটনায় রহস্যমৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ। তবে শিশুটির দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। পুলিশকে জানানোর আগেই বাড়ির অদূরে কবর দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনার পরেই সমকামী বান্ধবীর সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি নজরে পড়ে স্বামীর। তিনি পুলিশকে জানান, এই সম্পর্কের চাপেই সন্তানকে খুন করতে পারে তাঁর স্ত্রী। এরপরই কবর থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, তাকে গলা টিপে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
দীর্ঘ জেরায় অভিযুক্ত মা স্বীকার করেছে, স্বামীর সন্তানকে সে নিজের কাছে আর রাখতে চায়নি। দাম্পত্য কলহের জেরে সমকামী বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকী স্বামী তার কোনও যত্ন নিতেন না। সমকামী প্রেমের সম্পর্কের কারণেই সন্তানকে খুন করে সে।
চলতি সপ্তাহে আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সদ্যোজাত সন্তানের জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর মায়ের হাতেই মর্মান্তিক পরিণতি। হাসপাতালের মধ্যে সদ্যোজাত সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। সন্তানের জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরেই, শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেছে মা। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সকলে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের চুরু জেলায়। শনিবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৪০ বছর বয়সি গুড্ডু দেবী নামের এক যুবতী চুরু জেলার সরকারি হাসপাতালে পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। সদ্যোজাতর মুখ দেখে বাড়ির আত্মীয়স্বজন হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই ফাঁকেই সদ্যোজাত সন্তানের শ্বাসরোধ করে খুন করে মা।
পুলিশ আধিকারিক সুখরাম চোটিয়া জানিয়েছেন, আর্থিক অনটনে জেরবার ছিল গুড্ডু দেবী। সংসারের খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য ছিল না তার। যা ঘিরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল সে। পাশাপাশি গুড্ডু দেবীর স্বামী তারাচাঁদ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী। পঞ্চম সন্তানের জন্মের পরেই আত্মীয়স্বজনদের জানিয়েছিল, আরেকটি সন্তানের দেখভাল করার মতো আর্থিক পরিস্থিতি নেই।
শুক্রবার সকালে সদ্যোজাতকে দেখতে যান গুড্ডুর বোন ময়না দেবী। তখনই খেয়াল করেন, সদ্যোজাত নড়াচড়া করছে না। কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে। তড়িঘড়ি করে চিকিৎসকদের খবর দেন তিনি। সদ্যোজাতর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এরপরেই ঘাতক মায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেই গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা।
