আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটা-দুটো নয়, উদ্ধার ১০০টি বাঁদরের মৃতদেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হাতরাসের। বুধবার এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, একটি খাবারের গুদামে প্রায়ই খাবার লুটপাট করত বাঁদররা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছিল। খাবার খেতে ঢুকলে সেই বিষাক্ত ধোঁয়ায় মৃত্যু হয় তাদের। বাঁদরের নিষ্প্রাণ দেহ পুঁতে রাখা হয়েছিল একটি গর্তে। পুলিশ গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করেছে। সেখানকার সার্কেল অফিসার যোগেন্দ্র কৃষ্ণ নারায়ণ জানিয়েছেন, বুধবার পুলিশ মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে। খবর দেওয়া হয় পশুচিকিৎসকদের। তাদের একটি দল শুক্রবার পোস্টমর্টেম-এর জন্য দেহগুলোকে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ঘটনার সূত্রপাত ৭ নভেম্বর। বাঁদরের উৎপাত তো ছিলই, সঙ্গে ছিল পোকামাকড় এবং ইঁদুরের উৎপাত। এফসিআই নিস্তার পাওয়ার জন্য গমের বস্তায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড স্প্রে করে। সেদিন রাতেই চারপাশ নিঃস্তব্ধ হয়ে পড়লে বাঁদরের দল গোডাউনের ভাঙা জানালা দিয়ে গুদামে প্রবেশ করে। এরপর বদ্ধ ঘরে ওই গ্যাসে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে ছটফট করতে করতে মারা যায়। তার ঠিক দু' দিন পরে গত নয় নভেম্বর শ্রমিকরা গুদাম খুললে বেশ কয়েকটি বাঁদরকে মরে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তাঁরা এসে মৃতদেহ নিয়ে পাশেই একটা গর্তে কবর দিয়ে দেন।
আশপাশের লোকজন জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গর্ত থেকে প্রায় ১০০টিরও বেশি বাঁদরের দেহ বের করা হয়েছে। তাদের মৃতদেহগুলো এতদিন আটকে থাকায় পচতে শুরু করে দেয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাতরাস গত কয়েক বছরে সংবাদ শিরোনামে এসেছে। এবার এল বাঁদরের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে।
