আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি মাসের শেষের দিকেই বড় উপহার পেতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্র মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে। সরকারি সূত্রে খবর, কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে কেন্দ্র। এই বৃদ্ধি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে। তবে, যদি পূর্ববর্তী বছরের রেকর্ড দেখি, সরকার ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এবং মার্চের শুরুতে জানুয়ারি থেকে জুন মাস প্রর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল। ফেব্রুয়ারির শেষে ঘোষণা না হলে সরকার হোলির আগেই মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধি করতে পারে। সরকার বছরে দুবার, ১ জানুয়ারি এবং ১ জুলাই ডিএ বৃদ্ধি করে থাকে।

কত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ?
গত বছরও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে সেই বৃদ্ধি ১ জুলাই থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছিল। সরকার গত অক্টোবরে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিল। ফলে ডিএ ৫০ শতাংশ বেড়ে হয় ৫৩ শতাংশ। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তারপর মহার্ঘ্য ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মূল বেতনের ৫০ শতাংশে পরিণত হয়। এখন মহার্ঘ্য ভাতা মূল বেতনের ৫৩ শতাংশ। এছাড়াও, পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ্য ত্রাণ-ও (DR)ও ৫৩ শতাংশ। 

কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া হয়, আর পেনশনভোগীদের ডিআর দেওয়া হয়। সরকার যদি ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ায়, তাহলে মহার্ঘ্য ভাতা বেড়ে দাঁড়াবে ৫৬ শতাংশ।

মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা কবে?
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, না হলে কেন্দ্রীয় সরকার হোলির আগে এই ঘোষণা করবে। এবার হোলি ১৪ মার্চ। সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি পিএম কিষাণের কিস্তিও প্রকাশ করবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। এরপর সরকার কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করতে পারে।

কোভিডের সময় বন্ধ থাকা ডিএ কি পাওয়া যাবে?
সংসদে গত বর্ষাকালীন অধিবেশনের সময়, কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী স্পষ্ট করে দেন যে- সরকারের পক্ষ থেকে কোভিড মহামারীকালে বন্ধ থাকা ১৮ মাসের ডিএ এবং ডিআর বকেয়া পরিশোধের সম্ভাবনা প্রায় নেই। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, "কোভিডের সময় বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ এবং ডিআর পরিশোধের কথা সরকারের বিবেচনায় নেই।" কোভিড মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুলাই এবং ২০২১ সালের জানুয়ারির তিন কিস্তি ডিএ ও ডিআর ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।