আজকাল ওয়েবডেস্ক: মন্দিরে আচার অনুষ্ঠান সেরে কোর্টে গিয়েছিলেন পাত্র-পাত্রী। কারণ সেখানেই আইনি মতে বিয়ের পর্ব সারার কথা ছিল তাঁদের। উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়রাও। বিয়ের ঠিক কয়েক মিনিট আগে আচমকা নিখোঁজ পাত্রী। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর দেখা আর পাওয়া যায়নি। অবশেষে পাত্র জানতে পারলেন, তরুণী আদতে চোর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদৌয়ে। নিরজ গুপ্ত নামে যুবক নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন তরুণী। স্থানীয় এক 'বাবা' তরুণীর ছবি দেখিয়ে যুবককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তরুণীকে ছবিতে দেখে পছন্দ হয়েছিল তাঁর। ফোনে তারপর কথা শুরু হয়েছিল তাঁদের। কথা বলতে বলতে বিয়ের জন্য দু'জনে রাজি হন।
সোমবার স্থানীয় এক মন্দিরে বিয়ের আচার সেরে কোর্টে পৌঁছন দু'জনে। সেখানে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ছবিও তোলেন পাত্রী। বিয়ের ঠিক আগে পাত্রের মা আশীর্বাদ করে তরুণীকে সোনার গয়না দিয়েছিলেন। সেই গয়না পরেই বিয়ে করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পেপারে সই করার ঠিক আগেই সেই 'বাবা'কে নিয়ে গায়েব হয়ে যান তরুণী।
পাত্র জানিয়েছেন, তরুণী সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে বিয়ে না করেই চম্পট দেন। আদতে যে চোর, তা বিন্দুমাত্র টের পাননি। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তরুণীর খোঁজে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
