আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় বহু মানুষের সমাগম হয়েছে। ফলে সেখানকার পরিবেশ যাতে পরিষ্কার রাখতে এবার হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। গোটা এলাকাকে সঠিক রাখতে কতটা খরচ করা হচ্ছে সেখানে। জেনে নিন তার হিসাব।


বেসরকারি এবং সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান মিলে এখানে পরিষ্কারের কাজটি করে চলেছেন। এখানে রয়েছে ১.৫ লক্ষ টয়লেট। উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত টয়লেট স্যানিটেশন ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। 


১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এখানে এলাকা পরিষ্কার রাখতে বহু কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে ৩.৫ লক্ষ কেজি ব্লিটিং পাউডার, ৭৫ হাজার ৬০০ লিটার ফিনাইল। ৫০ কোটি ভক্ত যাতে এখানে সুরক্ষিত থাকতে পারেন সেদিকে নজর রাখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই ইকো ফ্রেন্ডলিভাবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিদিন এখান থেকে ৬৫০ মেট্রিক টন আবর্জনাকে সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। ৩৫০ টি মেশিনকে আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। 

 


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের অর্ধ কুম্ভ মেলায় রাজ্যের অর্থনীতিতে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে। সেবার প্রায় ২৪ কোটি পূণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল সেখানে।২০১৯ সালের কথা মনে করিয়ে, যোগীর আশা, এবার প্রায় দু’ লক্ষ কোটি টাকার আয় হতে পারে রাজ্যের, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। 


এই মেলাকে নির্বিঘ্ন ও সুরক্ষিত রাখতে একাধিক ব্যব্স্থা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। মেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সে কারণে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ৭০টি জেলার প্রায় ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত-স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। কোটি কোটি ভক্তের গতিবিধি রাখতে পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে। ২৭০০ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তাই মেলাপ্রাঙ্গণকে আবর্জনামুক্ত রাখতে সবধরণের ব্যবস্থাই করেছে যোগী সরকার।