নিতাই দে, আগরতলা : রাজ্যের বর্তমান সরকার রাজ্যবাসীকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে রাজ্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সম্প্রসারণ ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার অডিটোরিয়ামে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০তম প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান রয়েছে তাঁদের সবার শ্রদ্ধা করা প্রয়োজন। এই কলেজের গরিমা ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্ভরশীল। রাজ্যের ছাত্রছাত্রী তথা এই কলেজের ছাত্রছাত্রীর মেধা কোনও অংশে কম নয়। এই কলেজের পরিকাঠামো দেশের অন্যান্য রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। ছাত্রছাত্রীদের উচিত এই কলেজের মান তাদের পঠন পাঠন এবং পরিষেবার মাধ্যমে বৃদ্ধি করা।


মুখ্যমন্ত্রী সরকারি মেডিকেল কলেজের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,১০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রী এই কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছে। প্রায় ৩০০- এর বেশি পিজি ছাত্রছাত্রী পাশ করে বেরিয়েছে। যারা রাজ্যে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। রাজ্যের মানুষ কোনওদিন চিন্তাও করতে পারেননি যে রাজ্যেও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্ভব হবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় এই সাফল্য এসেছে। রাজ্য সরকার ত্রিপুরায় একটি মেডিক্যাল হাব গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালগুলির পরিষেবা আরও উন্নত করা হচ্ছে।' অনুষ্ঠানে কলেজের একটি বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বর্ষের এমবিবিএস পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের তাদের উল্লেখযোগ্য ফলাফলের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সহ উপস্থিত অতিথিগণ ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মারক উপহার ও শংসাপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব কিরণ কুমার গিত্যে ও আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা, সহকারি অধ্যক্ষ ডা. তপন মজুমদার। স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. ব্রাহ্মিত কৌর, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সঞ্জীব দেববর্মা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, মেডিক্যাল এডুকেশন দপ্তরের অধিকর্তা ডা. এইচ পি শর্মা সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।