আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার একজন মহিলা গরুর জন্য খাবার আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। রবিবার উত্তর প্রদেশের একটি গ্রামের মাঠে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের ক্ষত ছিল। তাঁকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। মহিলার প্রেমিক তাঁকে হত্যা করে বলে অভিযোগ।

সন্ধ্যা পর্যন্ত সায়রা বাড়ি না ফেরায়, তার পরিবার তাঁকে সর্বত্র খুঁজতে থাকে। পরের দিন মোরাদাবাদের কোতোয়ালি মৈনাথের মাঠে সায়রাকে খুঁজতে গেলে তাঁর মৃতদেহ মেলে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে যে, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। কারণ তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তবে, পোস্টমর্টেম থেকে জানা গিয়েচে যে, মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি। বরং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।  

তদন্তের সময়, পুলিশ সায়রার মোবাইল ফোনে পাঁচটি মিসড কল পেয়েছে। যে নম্বরের থেকে কলগুলি করা হয়েছিল সেটি রাফি নামে একজন ব্যক্তির বলে জানা যায়। রাফি মহিলার গ্রামেরই বাসিন্দা।

সায়রার মা সাফিনা পুলিশকে জানিয়েছেন যে রাফি তাঁর মেয়েকে প্রায়ই বিরক্ত করত। এরপর পুলিশ রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাফি পুলিশের কাছে স্বীকার করেথে যে, সেই সায়রাকে হত্যা করেছে।

পুলিশের দাবি জেরায় রাফি বলেছে, "সে সায়রাকে ভালোবাসে, কিন্তু সে তার অনুভূতির প্রতিদান দেয়নি। সে বলেছে যে, কয়েকদিন আগে গ্রামের এক ব্যক্তি তাকে মারধর করে। সে সন্দেহ করেছিল যে সায়রার সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক আছে। যা জানার পরই রাফি ক্ষুব্ধ হন। ঘটনার পর, সে দুই দিন ধরে সায়রার পিছু ধাওয়া করে। শনিবার, মাঠে যাওয়ার সময় রাফি সায়রার পিছু পিছু যায়। একা পেয়েই  ১৮ বার স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে।"

পুলিশ জানিয়েছে "যখন সায়রা যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে এবং রাফির কাছে তাঁর নিজের জীবন ভিক্ষা করে, তখন সে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে তাঁর গোপনাঙ্গ ছিদ্র করে। এর কিছুক্ষণ পরেই সায়রা মারা যান। তারপর সে তাঁকে ঝাঁকিয়ে দেখে। রাফি যখন নিশ্চিত হয় যে সায়রা মারা গিয়েছে, তখন রাফি বাড়ি গিয়ে স্নান করে, পোশাক পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে পড়ে।" 

রাফিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।