আজকাল ওয়েবডেস্ক:  মহারাষ্ট্রে ফের নৃশংস ঘটনা। ১৯ বছরের এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

জানা গিয়েছে শিশুকন্যার বাবা-মা কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। সে তাঁর দাদু-দিদার কাছে ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত বাড়িতে জোর করে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধৃত শ্রমিকের কাজ করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকায় সে কেবিলের কাজ করত বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার পরদিন শিশুটি সমস্ত কথা তাঁর মাকে জানায়। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পসকো আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারাও। শুরু হয়েছে তদন্ত।    

 

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের স্কুলে দুই শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে বম্বে হাই কোর্ট। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির প্রশ্ন, যদি স্কুলেই নিরাপত্তা না থাকে তাহলে শিক্ষার অধিকার নিয়ে এত আলোচনা করে কী হবে? দুই শিশুর যৌন নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতেও কেন দেরি করল পুলিশ, সেই নিয়ে তোপ দেগেছে বম্বে হাই কোর্টের বেঞ্চ।

 

গত ১৬ আগস্ট থানের বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মী। এই ঘটনায় থানায় শিশুর পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে জনতা।