আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেখা মেলে কুম্ভে। জীবন যেন রহস্যের চাদরে ঢাকা। সঠিক যাপন-চিত্র জানেন না কেউ, কিন্তু জানার আগ্রহ, জীবন নিয়ে জল্পনা অনেক। কেমন তাঁদের জীবন যাত্রা, তা নিয়ে কৌতূহল অনেক। অনেকেই ভাবেন তাঁরা পৃথক, অনেকেই বলেন, নাম আলাদা হলেও তাঁরা এক। কথা হচ্ছে নাগা সাধু এবং অঘোরী সাধুদের নিয়ে। কুম্ভ শেষ হওয়ার আগেই, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য।

নাগা এবং অঘোরী, দুই শ্রেণির সাধুই মূলত শিবের উপাসক। তাঁরা অন্তত ১২ বছর কঠোর তপস্যা করে থাকেন। কিন্তু পার্থক্য এখানেই। দুই শ্রেণিই উপাসনা, তপস্যা করেন, কিন্তু পদ্ধতিতে রয়েছে পার্থক্য। 

প্রয়াশই অঘোরী সাধুদের সঙ্গে খুলি বহন করতে দেখা যায়, কথিত তেমনটাই। স্বল্পবাস এই সাধুদের শরীর থাকে ছাই মাখা, গলায় থাকে রুদ্রাক্ষের মালা।  তাঁদের জীবন যাপন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই, তাঁদের উপস্থিতিই ভয় ধরায় সাধারণের মনে। পুরান অনুযায়ী, অঘোর সম্প্রদায়ের আবির্ভাব শিবের কারণেই। এই অঘোর শব্দের অর্থ আবার নির্ভিক। যাঁরা শিবের উপাসনা করেন তাঁদের অঘোরী বলা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে, অঘোরী সাধুরা থাকেন মূলত শ্মশানে। উপাসনা করেন শিব এবং শৈবের। অঘোরী সাধুরা শক্তির উগ্র রূপ কালীর উপাসনা করেন বলেও জানা যায়। জানা যায়, অঘোরীরা একটি অদ্বৈতবাদী দর্শন অনুসরণ করেন, যা বলে যে মহাবিশ্বের সবকিছু এক এবং ব্রহ্ম থেকে উদ্ভূত। তাঁরা বিশ্বাস করেন, প্রতিটি ব্যক্তির আত্মা হল শিব- যা ব্রহ্মের সর্বোচ্চ প্রকাশ। শব সাধনায় ভগবান শিবকে মাংস ও মদ নিবেদন করেন এবং শিব সাধনার সময় তাঁরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে আচার অনুষ্ঠান করেন।


অন্যদিকে নাগা সাধুরা শৈব ঐতিহ্যের প্রবল অনুসারী, শিবলিঙ্গে বেলপত্র, ছাই এবং জল নিবেদন করে পুজো সম্পন্ন করেন। আগুন এবং ছাই তাঁদের আচার-অনুষ্ঠানের মূল দুই উপাদান। তাঁরা ধ্যান এবং যোগের মাধ্যমে ভগবান শিবের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চান।