আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলছে কুম্ভমেলা। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি, দীর্ঘ সময়ে যেমন কোটি কোটি মানুষ হাজির হয়েছেন প্রয়াগরাজে, তেমনই ঘটেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। পদপিষ্ট, অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক বাড়লেও, হাজার হাজার মানুষ যাচ্ছেন মহাকুম্ভে। আর যাওয়ার পথে, ট্রেনে জায়গা না পেয়ে, যা করলেন যাত্রীরা। 


ঘটনাস্থল বিহার। বিহারের মধুবনী স্টেশন। স্বতন্ত্রতা সেনানি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস সোমবার মধুবনী স্টেশনে পৌঁছতেই শুরু হয় সমস্যা। বিহারের জয়নগর থেকে ওই ট্রেন প্রয়াগরাজ হয়ে পৌঁছয় দিল্লিতে। স্বাভাবিকভাবেই, স্থানীয়রা কুম্ভে যাওয়ার জন্য ওই ট্রেনকেই বেছে নেন। সেইমতো মধুবনী স্টেশনে হাজির ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু ট্রেন সেখানে পৌঁছনোর পর তাঁরা দেখেন, আগে থেকেই ভিড়ে ভর্তি গোটা ট্রেন। এতটাই ভিড়, যে এসি কোচের দরজা পর্যন্ত খোলা যাচ্ছে না।

এই ভিড়ে ট্রেনে উঠবেন কীভাবে? প্রশ্ন করতে করতেই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা ট্রেনে ভাঙচুর চালান, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসি কামরার জানলার কাচে পাথর ছুঁড়তে থাকেন যাত্রীরা। ফলে, ট্রেনের বাইরে, ভিতরে দু’ জায়গাতেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। 

ভাঙচুরের ঘটনার বেশকিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার একটিতে দেখা গিয়েছে, জানলার ধারে বসে ছিলেন এক যাত্রী, ভাঙচুরের সময় তিনি চিৎকার করছেন আতঙ্কে। অপর এক যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি সপরিবারে দিল্লি যাচ্ছিলেন। মাঝে ঘটে এই হামলার ঘটনা। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা ওই স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন ছাড়ে। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটির কোনও প্রকার মেরামতি ছাড়াই ফের চলতে শুরু করে। এর আগে বৃহস্পতিবার সমস্তিপুরের কাছে এই ট্রেনেই হামলা চলেছিল। সেদিন বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।