আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবারের মহাকুম্ভ মেলা থেকে বিরাট টাকা আয় হয়েছে যোগী সরকারের। দেখা গিয়েছে সেখানে আয়ের পরিমান ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মার্কিন ডলারর হিসাবে এই টাকার পরিমান ৩৬০ বিলিয়ন ডলার। ভারতের অন্যতম বড় ইভেন্ট ছিল এবারের মহাকুম্ভ মেলা। সেখানে প্রচুর টাকা নিজেদের ঘরে তুলল যোগী সরকার।
মহাকুম্ভ হয়ে থাকে ১৪৪ বছর পর। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবারের মহাকুম্ভ মেলা। প্রয়াগরাজের সর্বত্র তাই ভক্তদের ভিড়। এই ৬ সপ্তাহ ধরে প্রচুর ভক্ত দেশ-বিদেশ থেকে এদেশে এসে ভিড় করেছেন। এরা সরাসরি প্রভাব পড়েছে যোগী সরকারের অর্থনীতিতেও।
মহাকুম্ভ মেলা থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যে পরিমান টাকা ঘরে তুলেছে তাতে সকলের মুখে এখন চওড়া হাসি। প্রয়াগরাজ জুড়ে ডেয়ারি শিল্প, ক্যালেন্ডার, পাটের ব্যাগ এবং স্যানিটারি সামগ্রী সবথেকে বেশি বিক্রি হয়েছে। মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে এই সামগ্রীগুলির বিক্রি হয়েছে সবথেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত ৪০ কোটির বেশি ভক্ত এবারের মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছেন। ফলে এই পরিমান টাকার অঙ্কের লেনদেন হবে সেটাই স্বাভাবিক।
যোগী সরকার মনে করছে এবারের মহাকুম্ভ মেলায় ভক্তর সংখ্যা ৬০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। সেখানে এই টাকার অঙ্ক প্রায় ৩ লক্ষ কোটিকে ছাড়িয়ে যাবে। উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিতে এই পরিমান টাকা যে বিরাট ফল এনে দেবে আগামীদিনে সেটাই সকলে মনে করছেন।
যেভাবে এই মেলাকে ঘিরে এখানকার অর্থনীতি উন্নত হয়েছে তার তারিফ করেছেন সকলেই। খাবার, পরিবহন, পুজোর সামগ্রী, হাতের কাজের শিল্প, সাধারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বিক্রি যে হারে বিক্রি হয়েছে তাতে খুশি এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি অযোধ্যা, বারাণসীর মতো জায়গাগুলিও ভক্তদের ঢল নামতে শুরু করেছে। ফলে সেখানকার অর্থনীতিও বিরাট লাভের মুখ দেখেছে। প্রয়াগরাজ থেকে সরাসরি বাস করে এই স্থানগুলিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রয়াগরাজের উন্নতির জন্য ৭৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এখান ফ্লাইওভার, আন্ডারপাসগুলিও নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।
