আজকাল ওয়েবডেস্ক: সহকর্মীর বান্ধবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার শখ। যার জেরে বারবার জোরাজুরিও করতেন সহকর্মীকেই। অবশেষে যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি। যুবককে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুগল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ৪০ বছর বয়সি এক যুবককে খুনের অভিযোগে এক যুগলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃত যুবক এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। পরিকল্পনামাফিক এক যুবক ও তার লিভ ইন সঙ্গীকে ওই যুবককে খুন করে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম, সোনপাল। তিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাসিন্দা ছিলেন। গুরুগ্রামে খোহ গ্রামে ভাড় বাড়িতে থাকতেন। সহকর্মীর লিভ ইন সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বারবার যা ঘিরে উত্যক্ত করতেন। এর জেরে রাগের মাথায় তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে সহকর্মী ও তার লিভ ইন সঙ্গী।
মথুরার কাছে কোশি কোলন এলাকা থেকে মৃত যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত হল, ২৬ বছরের কুশলপাল সিং। সে উত্তরপ্রদেশের গোন্দা জেলার বাসিন্দা। আর ১৯ বছরের ভাবনা নামের তার লিভ ইন সঙ্গী। সে কাশগঞ্জের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের আইএমটি মানেসারের সেক্টর ১-এ এক ভাড় বাড়িতে থাকত। লিভ ইন সম্পর্কে ছিল এই যুগল।
গত ৭ নভেম্বর থানায় মৃত যুবকের নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর এক আত্মীয়। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ৪ নভেম্বর অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। বিকেলেই ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনের পর আর বাড়ি ফেরেননি। এমনকী তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই যুগলকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় খুনের ঘটনাটিও স্বীকার করে।
অভিযুক্তরা জানিয়েছে, সোনপাল বারবার ভাবনার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করছিলেন। এমনকী বন্ধুত্ব করার জন্য জোরাজুরিও করতেন। সহকর্মীকেই বেশিরভাগ সময় উত্যক্ত করতেন তিনি। এর জেরে ঘটনার দিন সোনপালকে বাইকে চাপিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় তারা। ধারালো ছুরি দিয়ে সাতবার তাঁকে কুপিয়ে খুন করে ২৬ বছরের তরুণ। এরপর দেহটি সেখানেই ফেলে রেখে যুগল পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে লিভ ইন সম্পর্কের জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সম্পর্কের পরিণতিতে একমাত্র পথের কাঁটা সঙ্গীর মেয়ে। তাই রাগের মাথায় লিভ ইন সঙ্গীর পাঁচ বছরের মেয়েকে খুন করল এক যুবক। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে তারা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার রেওয়ারি জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের নাম রোশন। সে বিহারের বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই বিবাহিত যুবতী ও তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রোশন। যা
বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে সে লিভ ইন সম্পর্কে জড়িত ছিল।
গত বুধবার যুবতী ও তাঁর লিভ ইন সঙ্গীর মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। সেই সময় তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। অশান্তির চোটে যুবতী সোজা রেল স্টেশনে চলে যান। আর যুবক রাগের মাথায় বাড়ি ফিরে যায়। সেই সময় বাড়িতে যুবতীর পাঁচ বছরের মেয়ে ছিল। মাকে দেখতে না পেয়ে শিশুকন্যা কান্নাকাটি শুরু করে। বারবার রোশনকে অনুরোধ করে, তাকে তার মায়ের কাছে যেন নিয়ে যায়।
একটানা কান্নাকাটির পরেও শিশুকন্যার আবেদনে গুরুত্ব দেয়নি রোশন। কিন্তু রাগের মাথায় তাকে মেঝেতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে মেরে ফেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুকন্যার। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় রোশন। শিশুকন্যার আর্তচিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখেই পুলিশে খবর দেন সকলে। তড়িঘড়ি করে শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে কয়েক ঘণ্টা পরেই অভিযুক্ত রোশনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
