আজকাল ওয়েবডেস্ক: মন্দিরে পুজো দিলেই প্রসাদ হিসেবে হাতে আসবে ব্রাউনি আর বা্র্গার। অবাক হচ্ছেন? এই তথ্য অক্ষরে অক্ষরে সত্য। নিয়মটি চালু রয়েছে ভারতেরই এক মন্দিরে। চিরাচরিত রীতির বাইরে গিয়ে দক্ষিণ ভারতের এক মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় ব্রাউনি।
দক্ষিণী সংস্কৃতি অনুযায়ী দেবতার ভোগ হিসেবে মিষ্টি, পোঙ্গল নিবেদনের রীতি রয়েছে। তামিলনাড়ুতেও এই নৈবেদ্য দেওয়ার রীতি বহুল প্রচলিত। তবে ব্যতিক্রম দেখা যায় তামিলনাড়ুর পদাপ্পায়ের জয় দুর্গা পীঠম মন্দিরে। এই মন্দিরের রান্নাঘরেই নৈবেদ্য হিসেবে তৈরি হয় স্যান্ডউইচ, বার্গার, ব্রাউনি। যা পুজোর প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় ভক্তদের।
শুধুমাত্র প্রসাদের দিক থেকেই যে এই মন্দির কর্তৃপক্ষ আধুনিক চিন্তাধারা পোষণ করে, তা কিন্তু নয়। মন্দিরের সমস্ত ব্যবস্থাপনাই অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন এবং শৃঙ্খলায় আবদ্ধ। এই মন্দিরে পুজো দিতে গেলে প্রত্যেক দর্শণার্থীকেই মানতে হবে নিয়ম। এই দেবালয়ে প্রসাদের প্যাকেট সংগ্রহের জন্য ভেন্ডিং মেশিন থেকে প্রথমে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। তারপরেই মিলবে ভোগ।
একইসঙ্গে ভক্তদের জন্মদিনে উপহার হিসেবে কেক পাঠানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে মন্দিরে। সব ধরনের প্রসাদের বাক্সেই উল্লেখ করা থাকে মেয়াদউত্তীর্ণ তারিখ। কিন্তু কেন এই অভিনব ভাবনাচিন্তা? মন্দিরে অন্যতম উদ্যোক্তা ভেষজ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কে শ্রীধর জানান, আমরা যা খেতে ভালোবাসি, তা যদি পবিত্র মনে পরিচ্ছন্ন উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রান্না করা যায়। তবে সেই পুষ্টিকর খাবার ঈশ্বরকেও নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া যায়। সেইক্ষেত্রে চিরাচরিত রীতির বাইরে ভোগ হলেও ক্ষতি নেই। সেই ভাবনা থেকে গোটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মন্দিরে ডেসার্ট বা ব্রাউনি প্রসাদ ভক্তদেরও মধ্যেও সমাদৃত হয়েছে।
ভিন্ন প্রসাদ বিতরণের রীতি জনপ্রিয় স্থানীয়দের মধ্যেও। তিনি আরও জানান, তারা ভক্তদের জন্ম তারিখ ও ঠিকানা নথিভুক্ত করে রাখেন। পরবর্তী সময়ে জন্মদিনে নির্দিষ্ট ভক্তের বাড়িতে পৌঁছে যায় কেক। শুভদিনে মন্দির থেকে কেক পাঠানোর রীতি হৃদয় ছুঁয়ে যায় ভক্তদেরও।
