আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগ্রায় অবস্থিত তাজমহল বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের স্মরণে এই সুন্দর স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছিলেন। ধবধবে সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি, সমাধিসৌধটি অনন্য খোদাই-কীর্তি, ক্যালিগ্রাফির জন্য দুনিয়ার সপ্তম আশ্চর্য হয়ে উঠেছে। তাজমহল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাজমহল অসামান্য স্থাপত্যের নজির, যা পারস্য, অটোমান, ভারতীয় এবং ইসলামিক শৈলীর মিশ্রণে তৈরি। এটিকে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্রাট শাহজাহানের নির্দেশে তাঁর প্রিয় স্ত্রী মমতাজের স্মরণে ১৬৩২ সালে তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। শাহজাহানের তৃতীয় স্ত্রী মমতাজ সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। ইউনেস্কোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা আছে, 'তাজমহল মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের স্মরণে নির্মাণ করেছিলেন, যার নির্মাণকাজ ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়েছিল। মসজিদ, অতিথিশালা এবং দক্ষিণে প্রধান প্রবেশদ্বার, বাইরের উঠোন এবং এর চূড়া পরবর্তীতে গড়ে ওঠে। এসব নিয়ে সম্পূর্ণভাবে তাজমহল গড়ে উঠেছিল ১৬৫৩ সালে।'
ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের মধ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্য কীর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাজমহলকে। ১৯৮৩ সালে, তাজমহল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিখ্যাত এই স্মৃতিস্তম্ভটির নাম প্রথমে কি রাখা হয়েছিল?
শুরুতে তাজমহলের নামকরণ করা হয়েছিল 'রোজা-ই-মুনাভরা'। ফার্সি ভাষায় যার অর্থ 'অনন্য ভবন'। আবার অনেকের মতে, তাজমহল প্রথমে 'রৌজা-ই-মুনাওয়ারা' নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ 'আলোকিত সমাধি'। ১৬০০ শতকের গোড়ার দিকে নির্মাণের শুরুতে তাজমহলের এই নামটিই ব্যবহার করা হয়েছিল।
