আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম থেকে যৌন পরিচয়, জাতি, ধর্মীয় পরিচয় ও কাশ্মীর, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সংক্রান্ত অধ্যায় বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বলে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের পাঠ্যক্রম নিয়ে সোমবার (৬ মে) অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি এই সুপারিশগুলি করেছে।

এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘Psychology of Sexuality’ শীর্ষক একটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক পত্রও পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ‘Understanding Diversity’ পত্র থেকে জাতি ও ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কিত অংশ মুছে ফেলার এবং শুধু ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর জোর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

স্ট্যান্ডিং কমিটি আরও বলেছে, পশ্চিমী দৃষ্টান্ত এবং প্রসঙ্গসমূহ সিলেবাস থেকে বাদ দিতে হবে এবং তার পরিবর্তে মহাভারত, রামায়ণ, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মীয় পাঠ থেকে উদাহরণ যোগ করতে হবে। ‘Psychology of Peace’ পত্রটি পুর্নগঠনের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, সেখানে মহাভারতের মধ্যস্থতা ও আলোচনার দৃষ্টান্ত যুক্ত করতে হবে।

ইতিপূর্বে মনোবিজ্ঞান ছাড়াও ইংরেজি, বায়োকেমিস্ট্রি, পার্সিয়ান, উর্দু ও দর্শন বিভাগের সিলেবাস পর্যালোচনা করে সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই আরও অন্তত ২০টি বিভাগের পাঠ্যক্রম খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রস্তাব বাধ্যতামূলক নয়, তবে একাডেমিক কাউন্সিলের উপর এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আগামী ১০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এই পরিবর্তনগুলি জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) ২০২০-এর আওতায় পাঠ্যক্রমের সামগ্রিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষাবিদ ও ছাত্রসমাজ ইতিমধ্যে এই বিষয়ে নানা প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে।