আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেরাদুনে ১২ নভেম্বরের ঘটনার ভিডিও দেখে রীতিমত শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। এখনও তদন্ত সম্পূর্ন হয়নি, এই দুর্ঘটনার কারণ কী, চালক সহ বাকিরা মদ্যপান করেছিলেন কি না, করলেও কতটা, ফিরছিলেন কোথা থেকে, এসব বিষয়ে এখনও স্পষ্ট উওর পাওয়া না গেলেও, গত দু' দিন সাধারণ মানুষ সতর্কবার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোশ্যালমিডিয়ায়।
একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে, ওই ছয়জন পার্টি করছে, উল্লাস-আনন্দ। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। প্রাথমিক অনুমান দুর্ঘটনার আগের ভিডিও সেটি। যদিও এখনও কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিহতদের শরীরে মডের উপস্থিতি নিশ্চিত করেনি, তবে, সোশ্যালমিডিয়ায় অনেকেই মদ্যপান না করে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছেন।
কেউ লিখছেন, যদি সিগারেটের প্যাকেটে ক্যান্সারের ছবি দিয়ে সতর্ক করা হয় থাকে, তাহলে মদের বোতলেও তার ভয়াবহ পরিণতির কথা লেখা উচিত। কেউ কেউ সতর্ক করছেন অল্পবয়সীদের। মদ্যপান করে গাড়ি না চালানো যেমন অন্যতম, তেমনই অন্যতম, অপর গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি না করা।
পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে প্রাণ গিয়েছে ছ' জনের। সাতজনের দলের একজনের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে কোনওরকমে। ইনোভার সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কার পর, প্রাথমিকভাবে যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল, কারও দেহ রয়েছে, নেই মুণ্ডু, কেউ বা পিষে গিয়েছেন গাড়ির ভিতরেই। দেশলাই বাক্সের মতো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে কিছুক্ষণ আগেই তীব্র গতিতে ছুটে আসা গাড়ি। দেরাদুনের ১২ নভেম্বর রাতের দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষ।
ইতিমধ্যেই ওই ছ’ জনের নাম জানা গিয়েছে। গাড়িতে ছিলেন বছর তেইশের কুণাল কুক্রেজা, নভ্যা গোয়েল, ২৪ বছরের অতুল আগরওয়াল, ঋষভ জৈন, ২০ বছর বয়সী কামাক্ষী এবং গুনীত, বয়স ১৯। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ২৫ বছরের সিদ্ধেশ আগরওয়াল। তিনি এখনও হাসপাতালে লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
