আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় ‘বিশেষ তীব্র পুনঃপরীক্ষা’ (special intensive revision) চালানোর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ‘গভীর সন্দেহ’ প্রকাশ করেছে। আদালত প্রশ্ন তোলে—৮ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার রাজ্যে এত দ্রুত এই বিশাল প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালিত হবে, এবং এর ফলে কোনও ভোটার বাদ পড়লে তিনি ভোটের আগেই তাঁর নাম পুনর্বহাল করার সুযোগ পাবেন কি না।
বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া মন্তব্য করেন, “ভোটের আগে যদি কারও নাম বাদ পড়ে, তাহলে তিনি নিজের পক্ষে সওয়াল করার সময়টুকুও পাবেন না।” আদালত নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করে, ‘Representation of People Act’-এর কোন ধারা এই ‘special intensive revision’-এর অনুমতি দেয়। এছাড়াও আদালত জানতে চায়, কেন আধার কার্ডকে স্বীকৃত নথি হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। বিচারপতিরা জানান, “যেহেতু এই প্রক্রিয়া পরিচয় যাচাইয়ের, আধারকে বাদ দেওয়া অবৈধ ও অসংবেদনশীল মনে হচ্ছে।”
পিটিশনকারীদের পক্ষে আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ বলেন, বহু বছর ধরে ভোটার তালিকায় থাকা নাগরিকদের হঠাৎ করে নতুন করে পরিচয় যাচাইয়ে বাধ্য করা হচ্ছে, অথচ আধার গ্রহণ করা হচ্ছে না। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি করা হয়, আধার পরিচয়ের প্রমাণ হলেও নাগরিকত্বের নয়।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, এই তালিকা সংশোধনের সময় ও পদ্ধতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গরিব, পরিযায়ী ও সংবেদনশীল শ্রেণিকে ভোট থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা। সুপ্রিম কোর্ট পুরো বিষয়টিকে “গণতন্ত্রের মূল ভিত্তির সঙ্গে যুক্ত” বলে অভিহিত করে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তলব করেছে।
