আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের মুজাফফরপুর। অভিযোগ, ন’ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং তার পরে গলা কেটে দেওয়া। ঘটনার পরে রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন মেয়েকে উদ্ধার করেন মা। তৎক্ষণাৎ মেয়েকে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানেও কি মিলল সুরাহা? স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মেয়েকে রেফার করা হয় পাটনা হাসপাতালে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রক্তাক্ত মেয়েকে সেখানে শয্যা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হল অন্তত ছ’ ঘণ্টা। ঠিক তার পরের দিন, মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার।


ঠিক ভোটের প্রাক্কালে, এই ঘটনা সে রাজ্যের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এক মাছ বিক্রেতা খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ডাকে। পরে কিছুদূরে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পাশবিকতার শেষ এখানেই নয়, তার পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেয়েটির গলা কেটে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।


মেয়েটির মা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে তিনি মেয়কে খুঁজতে শুরু করেন। প্রতিবেশীরা তাকে জানায়, মেয়েকে সাহনির সঙ্গে তার সাইকেলে দেখা গিয়েছে। সাহনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে জানায় মেয়েটি কোথায়। নয় বছরের শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।  তাকে দ্রুত মুজাফফরপুরের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজ্যের রাজধানীর পিএমসিএইচে রেফার করা হয়।

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, পিএমসিএইচে শয্যা না পাওয়ায় তাকে ছ’ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। গতকাল তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় বিলম্বের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।