আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহাকুম্ভে ২৯শে জানুয়ারি পদপৃষ্ট হয়ে ৩০ জন পূণ্যার্থী নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ অনেকে। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ওই দিন সঙ্গমে সক্রিয় থাকা ১৬০০০-র বেশি মোবাইল নম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে এইসব নম্বর বেশিরভাগই এখন বন্ধ রয়েছে। সূত্রের খবর, কন্ট্রোল রুমে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যাপের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

এদিকে, বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে সোমবার সকালে মহাকুম্ভে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় অমৃত স্নান। ফলে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সঙ্গম অঞ্চলে। চতুর্থ অমৃত স্নান ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘ পূর্ণিমার দিন অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষটি আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রিতে অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নানের জন্য কুম্ভে প্রচর পূণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। আর অতিরিক্ত চাপেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে যায়। ৩০ জন নিহত হন। এছাড়াও ৬০ জনেরও বেশি ভক্ত আহত হয়েছেন। পুলিশের মতে, জনতা ব্যারিকেড ভেঙে অন্য দিকে অপেক্ষারতদের পিষে ফেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার তদন্তের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেছে। সেই কমিশনের সদস্যরা ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট আগামী এক মাসের মধ্যে জমা করবে কমিশন।

১২ বছর পর অনুষ্ঠিত এই মহাকুম্ভ ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। মেলার আয়োজনকারী উত্তরপ্রদেশ সরকার আশা করছে যে, বিশ্বের বৃহত্তম এই আধ্যাত্মিক সমাবেশে প্রায় ৪০ কোটি তীর্থযাত্রীর সমাগম হবে।