আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর চলাকালীন এবং জনগণনার ডঙ্কা বাজিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার ক্যাবিনেটের পক্ষ থেকে এজন্য বরাদ্দ করা হল ১১ লাখ ৭১৮ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। এদিন ক্যাবিনেটে এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
জনগণনা হবে প্রধানত দুটি ভাগে। প্রথম ভাগটি হবে বাড়িতে গিয়ে। এটি হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। দ্বিতীয় ভাগটি হবে আদমশুমারি ২০২৭ হিসেব অনুসারে।
২০২৬ সালের আদমশুমারি হবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। এই কাজে প্রায় ৩০ লাখ ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে থাকবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণনা করা ব্যক্তি, সুপারভাইজার, ট্রেনার, চার্জ অফিসার, জেলার অফিসার।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত ডাটা আপলোড করা হবে। এগুলি সরাসরি কেন্দ্রীয় পোর্টালে চলে যাবে। পাশাপাশি সকলেই যাতে বিষয়টি দেখতে পারেন সেদিকেও জোর দেওয়া হবে।
ভারতের জনগণনা হল প্রতি দশ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত একটি প্রক্রিয়া, যা দেশের জনসংখ্যা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করে; এটি ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ আমলে শুরু হয়েছিল এবং স্বাধীন ভারতে ১৯৫১ সাল থেকে নিয়মিত হচ্ছে। সর্বশেষ জনগণনা ২০১১ সালে হয়েছিল, যার অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটিরও বেশি, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ার অনুমান করা হয়েছে।
প্রথম শুরু: ১৮৭২ সালে প্রথম জনগণনা, স্বাধীন ভারতে ১৯৫১ সালে প্রথম গণনা।
ব্যবধান: প্রতি ১০ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা: ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনারের কার্যালয়।
সর্বশেষ তথ্য (২০১১): জনসংখ্যা ১২১.০২ কোটি, জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩৮২ জন/বর্গ কিমি।
ভবিষ্যৎ: ২০২৫ সালের মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে, এবং ২০২৭ সাল থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা হবে।
২০১১ সালের পর থেকে ভারতে আর জনগণনা হয়নি। তাই এবারের জনগণনা অনেকটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেই মনে করছেন সকলে। এখন বিভিন্ন রাজ্যে এসআইআর চলছে। তাই আর বেশি দেরি না করে এবার ২০১৭ সালেই জনগণনা করতে চায় মোদি সরকার। সেই কাজকেই এবার তারা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
