আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটানা বিয়ের সাজপোশাকে পিঁড়িতে বসে থাকা যথেষ্ট কঠিন। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন কনে জানিয়েছিলেন, তিনি শৌচাগারে যেতে চান। শৌচাগারে যাওয়ার নামে পিঁড়ি থেকে ওঠার পর আর ফিরে আসেননি বিয়ের আসরে। তন্নতন্ন করে তাঁকে খোঁজেন সকলে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর আর তাঁকে পাওয়া যায়নি। শেষমেশ জানা গেল, প্রতারণার শিকার হয়েছেন বর। সোনার গয়না, নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন কনে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সিতাপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন কমলেশ কুমার এক যুবক। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন এক পাত্রীকেও। মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই ঘটনাটি ঘটে।
কমলেশ জানিয়েছেন, এক দালালকে নগদ ৩০ টাকা দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য এক পাত্রীকে পছন্দ করেছিলেন। সেদিন মন্দিরে পাত্রীর মা-ও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে হঠাৎ শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পিঁড়ি থেকে উঠে যান কনে। তখন অর্ধেক আচার সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। সিঁদুরদানের আগেই নিখোঁজ হয়ে যান কনে।
পরে খোঁজাখুঁজি করে জানা যায়, তরুণী নগদ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এমনকী তাঁর মা-ও পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর পুলিশে কোনও অভিযোগ জানাননি কমলেশ। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের তরফে অভিযোগ জানালে, বিষয়টি ঘিরে তারা তদন্ত শুরু করবে।
