আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঞ্জাবে চলন্ত সরকারি বাসে গুলি চালাল তিন দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার ফিরোজপুর-ফাজিলকা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। গুলি লেগে বাসের কন্ডাক্টর সামান্য আহত হয়েছেন। তবে চালক অল্পের জন্য রক্ষা পান। ঘটনার আকস্মিকতায় যাত্রীরা ভীষণ ভয় পেয়ে যান।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব রোডওয়েজের বাসটি ফিরোজপুর থেকে রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর যাচ্ছিল। পথে মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী বাসটিকে লক্ষ্য করে দু'টি গুলি চালিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাসের সামনের দিকে বুলেটের দাগ রয়েছে। চালকের দিকের জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। সেই ভাঙা কাচের টুকরো লেগেই কন্ডাক্টরের পায়ে আঘাত লাগে।

ঘটনার পরই চালক বাস থামিয়ে দেন। বাসের মধ্যে থাকা যাত্রীরা হঠাৎ এমন হামলায় চিৎকার করতে থাকেন। ভয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন। একজন যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা নিরিবিলি যাচ্ছিলাম, হঠাৎ বাইকে আসা লোকগুলো বাসে গুলি চালাল। চালক একটু ঝুঁকে যাওয়ায় বেঁচে গেলেন।" পুলিশ ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বাসটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, লুদিয়ানায় বিয়ে বাড়িতে গুলির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। অভিযুক্ত নয় জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ গত শনিবার লুদিয়ানার পাকোয়াল রোডে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গুলি চলার ঘটনায় চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, সেখানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি শুরু হয়৷ এরপর এলোপাথাড়ি গুলি চলে৷ ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত এক মহিলা-সহ মোট ন'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের সঙ্গে হামলাকারীদের পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতা বিয়েবাড়ির আনন্দ উৎসবের মধ্যেই আচমকা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

খবর অনুযায়ী, এই গুলিকাণ্ডের মূল এফআইআর ছাড়াও আরও দু'টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি অভিযোগ ম্যারেজ হলের নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে, কারণ তারা অস্ত্র নিয়ে লোকজনকে ভিতরে ঢুকতে দিয়েছিলেন। অন্য অভিযোগ চারজনের বিরুদ্ধে, যারা ঘটনার পর অভিযুক্তদের পালাতে ও লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল।

পুলিশের বক্তব্য, তারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে খবর মিলেছে।