আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলিগড়ের শাহপুর কুতুব উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত ও 'বন্দে মাতরম্' গাওয়া নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক সামশুল হাসান সকালের প্রার্থনাসভায় এই দেশাত্মবোধক গানগুলিতে অংশ নিতে শুধু অস্বীকারই করেননি, বরং তা গাওয়ার বিরোধিতা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটিকে 'শৃঙ্খলাভঙ্গ' ও 'জাতীয় প্রতীকগুলির প্রতি অসম্মান' হিসেবে দেখেই কড়া পদক্ষেপ করেছে জেলা শিক্ষা দফতর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাত্যহিক প্রার্থনার সময় যখন জাতীয় সঙ্গীত ও 'বন্দে মাতরম্' গাওয়া হচ্ছিল, তখন অভিযুক্ত শিক্ষক সামশুল হাসান তাতে আপত্তি জানান। তাঁর এই আচরণে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (বিইও) রাকেশ কুমার সিংয়ের কাছে রিপোর্ট করা হয়।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে জেলা শিক্ষা আধিকারিক রাকেশ কুমার সিং কালবিলম্ব না করে ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্ট জানান, সরকারি কর্মচারী হিসেবে এই ধরনের আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত এবং শৃঙ্খলার ঘোর পরিপন্থী। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীদের সামনে এমন উদাহরণ মোটেও কাম্য নয়। এই কার্যকলাপ কেবল সরকারি দায়িত্বের লঙ্ঘন নয়, এটি শিক্ষার্থীদের কাছেও ভুল বার্তা পৌঁছে দেয়। বিদ্যালয় কেবল পড়া-লেখার স্থান নয়, এটি জাতীয় ঐক্য, সম্মান ও দেশপ্রেমের বোধও জাগিয়ে তোলে।”
শিক্ষা দপ্তর ব্লক শিক্ষা আধিকারিককে ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর জেলার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সকালের প্রার্থনাসভায় জাতীয় সঙ্গীত ও 'বন্দে মাতরম্' গাওয়ার সময় যেন সব শিক্ষক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। শিক্ষা দপ্তরের মতে, এটি বিদ্যালয়ের নৈতিক পরিবেশকে মজবুত করে এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় গর্ববোধ তৈরি করে।
