আজকাল ওয়েবডেস্ক: একবছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন তরুণী। অবশেষে হাতের ট্যাটু দেখে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কিনারা পুলিশের। তরুণীকে একবছর আগে খুন করেছিল তার প্রেমিক। যে কাণ্ডে জড়িত ছিল মূল অভিযুক্তের আরও দুই বন্ধু। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত অন্য একটি মামলায় জেলবন্দি রয়েছে।
পুলিশ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায়। গত বছর নভেম্বর মাসে নিখোঁজ হন মানসী নামের এক তরুণী। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। তল্লাশি চালিয়েও তরুণীর কোনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর দিন কয়েক পরেই একটি খাঁড়ির পাশে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি শনাক্ত করা যায়নি। খুনে কে বা কারা জড়িত, তার কোনও হদিশ মেলেনি। কোনও সূত্র না মেলায়, তদন্ত আর এগোয়নি সেই সময়।
সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর নিখোঁজ তরুণীর বিষয়টিও খতিয়ে দেখে পুলিশ। তখনই তরুণীর দেহে ট্যাটু দেখে পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়। তরুণীর বোন মৃতদেহটি দেখেই শনাক্ত করেন। এরপরই খুনের নেপথ্যের কারণ খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। তরুণীর ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়।
ফোনের তথ্য ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, খুনের দিন শেষবার আদিল নামের এক যুবকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তরুণী। তরুণীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। তাতেই নারাজ ছিলেন তিনি। এরপরই একটি ব্রিজের উপর থেকে তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেন। নীচে পড়েই জ্ঞান হারান তরুণী। এরপর আরও দুই বন্ধু এসে খাঁড়িতে তাঁর দেহ ভাসিয়ে দেয়। জলের স্রোতে ভেসে মৃত্যু হয় তরুণীর। কয়েক কিলোমিটার দূরে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
