আজকাল ওয়েবডেস্ক:  সোনার গয়না পড়তে ভালোবাসেন না, এমন ব্যক্তি হদিশ খুব কমই মেলে। সোনার প্রতি মহিলাদের ভালোবাসা বেশি থাকলেও সোনার গয়নায় নিজেকে সাজাতে কিন্তু পিছিয়ে নেই ভারতীয় পুরুষরাও। সোনা বিনিয়োগকারীদেরও অন্যতম পছন্দ।

 

বর্তমানে অনেকটাই চড়া সোনার মূল্য। তবে দামে চড়াই-উতরাই থাকলেও সোনার গয়না কেনার রীতি চিরন্তন। কিন্তু পকেটে টাকা খসিয়ে সোনার যে গয়নাটি আপনি কিনলেন, সেই গয়নার সোনা ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ তো? প্রশ্ন শুনে অবাক হলেন কি? 

 

গয়না তৈরির ক্ষেত্রে কিন্তু কখনই একশো শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা ব্যবহার করা যায় না। আসলে খাঁটি সোনাকে ২৪ ক্যারেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্থানীয় বাজারে ২৪ ক্যারেটে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি সোনা থাকে বলে বলা হয়। একটি গয়নায় কতটা পরিমাণ খাঁটি সোনা যোগ করা হয়েছে, সেটি পরিমাপই হল ক্যারেট। সোনা যত খাঁটি ক্যারেটের মান তত বেশি। 

 

২৪ ক্যারেটের অর্থ হল ১০০ শতাংশ খাঁটি সোনা। ২৪ ক্যারেটের সোনা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের। ১৮ ও ২২ ক্যারেটের থেকে ২৪ ক্যারেট সোনার দামও বেশি। কিন্তু নমনীয় হওয়ায় গয়না তৈরি করতে ২৪ ক্যারাট সোনা ব্যবহার হয় না। এই বিশুদ্ধ সোনা প্রয়োজন হয় মূলত সোনার বার, কয়েন তৈরিতে। ২৪ ক্যারেট সোনায় তৈরি হয় না বলে স্বর্ণালঙ্কার খাঁটি নয়, এমটা নয়।

 

২২ ক্যারেট সোনা দিয়েই গয়না প্রস্তুত হয়। ২২ ক্যারেটের অর্থ হল ৯১.৬৭ শতাংশ খাঁটি সোনা। ২২ ক্যারেট সোনায় রুপো, দস্তা সহ অন্যান্য সংকর ধাতু মিশিয়ে গয়না তৈরি করা হয়।

 

অন্যান্য ধাতু সোনার টেক্সচারকে শক্ত করে, যার ফলে গয়না মজবুত ও টেকসই হয়। তাই সোনার গয়না তৈরিতে কদরও বেশি ২২ ক্যারেট সোনার। তবে অলঙ্কার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিশেষত হিরের গয়না তৈরিতে আবার প্রয়োজন হয় ১৮ ক্যারেট সোনার। তাছাড়াও সোনা কতটা খাঁটি, তা চেনাতে সাহায্য করবে হলমার্ক প্রতীকটিও।