আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশের এক দলিত নাবালিকাকে তার গ্রাম থেকে গোপনে কেরালায় নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি তাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োগের আগে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন মৌলবাদী নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৮ মে প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর এলাকা থেকে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। সে কেরালা থেকে পালিয়ে তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই ষড়যন্ত্রের উন্মোচন হয়। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীকে জিহাদি কার্যকলাপে যোগ দিতে বাধ্য করা হয় বলে সূত্রে খবর৷ কোনওভাবে সে ত্রিশুর রেলস্টেশনে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। সেখান থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় সে তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
পুলিশ জানিয়েছে দারক্ষা বানো নামে এক তরুণী তাকে কাজের নাম করে নিয়ে যায়। মোহাম্মদ কাইফ নামে এক যুবকের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এদের সঙ্গে জড়িত আরও একজনকে মিলিয়ে মোট তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
কিশোরীকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে অন্যান্য আরও নাবালিকাদের একই দল টার্গেট করে নিয়োগ করছে। ২৬ জুন কিশোরীর মা ফুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান এরপর তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়।
পুলিশ আরও জানায় অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে কাজ করছে। এদের লক্ষ্য মেয়েদের বিভ্রান্ত করা এবং দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ঠেলে দেওয়া। বর্তমানে অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক আবিষ্কারের জন্য তিনটি বিশেষ পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে।
