আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাবালক ও কিশোরদের যৌন লালসার শিকার ১৩ বছরের এক কিশোরী। আচমকাই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল চারজনে। এরপর আড্ডা দেওয়ার জন্য তাকে নিয়ে যায় একটি লজে। সেখানেই শুরু হয় গণধর্ষণ। নির্যাতিতা কিশোরীর মুখে বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চারজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের মধ্যে দু'জন নাবালক রয়েছে। একটি লজে কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে, যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ ডিসেম্বর। সেকেন্দ্রাবাদে কিশোরীকে একা দেখতে পেয়েই আলাপ করেছিল চারজন। এরপর একটি লজে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই ঘরের মধ্যে চারজন মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এর আগে থেকেই কিশোরী নিখোঁজ ছিল। গত ৫ ডিসেম্বর নির্যাতিতার পরিবার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে।
এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। দিন কয়েক পরেই ওই কিশোরী পুলিশকে ফোন করে তার ঠিকানা জানায়। সেই লজে পৌঁছে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই গণধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাকি দু'জনকে গ্রেপ্তার করে অবজারভেশন হোমে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অতীতে টিউশনে গিয়েও বিপত্তি ঘটে এই রাজ্যে। পড়াশোনার পরেই ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে, শুধুমাত্র নাবালিকা ছাত্রীকে আটকে রেখেছিল গৃহশিক্ষক। ফাঁকা ফ্ল্যাটে নাবালিকাকে উপর নির্মম যৌন হেনস্থা, ধর্ষণ করে সে। ঘটনার ন'বছর পর অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাঙ্গা রেড্ডি জেলায়। ১২ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৬০ বছরের এক গৃহশিক্ষককে। স্পেশাল কোর্টের নির্দেশে, যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নাবালিকা রাজেন্দ্রনগর মণ্ডলের বাসিন্দা ছিল। ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই গৃহশিক্ষক। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সেই সময় সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সেই আবাসনেই একটি ফ্ল্যাটে থাকত ওই গৃহশিক্ষক। প্রতি সন্ধ্যায় সেই গৃহশিক্ষকের কাছেই পড়তে যেত নাবালিকা।
৩ ডিসেম্বর। কাজের সূত্রে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন নাবালিকার বাবা ও মা। সেই রাতেই মেয়ে ফোন করে জানায়, টিউশনের পর বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে গৃহশিক্ষক তাকে আটকে রেখেছিল। ফাঁকা ফ্ল্যাটে তখন তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পরদিনই থানায় গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর চার্জশিট পেশ করা হয়।
স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি পি আঞ্জানেয়ুলু অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করেন। পাশাপাশি তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
