আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরুষদের হীনম্মন্যতার সুযোগ নিয়ে পাতা হয়েছিল ফাঁদ। সেই ফাঁদেই পা দিতেন হাজার হাজার পুরুষ। অবশেষে পুলিশের রেড পড়ল লিঙ্গ বর্ধক কর্মকাণ্ড চালানোর দু’টি বেআইনি ক্লিনিকে। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের উত্তর ব্যাংকক অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
থাইল্যান্ডের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে পাথুম থানি অঞ্চলের দু’টি বেআইনি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রথমে কয়েকজন মডেল নিয়োগ করতেন এই দুই ক্লিনিক এর ম্যানেজাররা। এরপর তাদের নগ্ন করে ছবি তোলা হত। একবার ছবি তোলা হয়ে গেলে এই মডেলদের গোপনাঙ্গের বদলে বসিয়ে দেওয়া হত এআই দিয়ে তৈরি পুরুষাঙ্গের ছবি। যাতে মনে হয় অস্ত্রোপচারের পর বৃহৎ আকার ধারণ করেছে তাঁদের জননাঙ্গ। পুলিশের আরও অভিযোগ যখন এই ক্লিনিক গুলিতে রেড চালানোর সময় দেখা যায়, একটি ক্লিনিকে তখনও একজন ২৮ বছর বয়সি রোগীর উপর অস্ত্রোপচার চলছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারকারী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায়, তাঁদের কেউই চিকিৎসক নন। এমনকী তাঁদের কিনা মেডিক্যাল লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।
পুলিশের আরও অভিযোগ শুধু লিঙ্গোত্থান নয় এই ক্লিনিংগুলিতে ভ্রু উত্তোলন, চোখের তলায় সার্জারি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক সার্জারি করা হত। ধৃত ব্যক্তিরা জানান তাঁদের মধ্যে একজন এই ক্লিনিকে চার মাস ধরে নার্সের কাজ করছেন। তাঁদের স্বীকারোক্তি থেকে আরও জানা যায় যে মাঝে মাঝে এখানে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করলেও অধিকাংশ সময়েই নার্সরাই এই ধরনের অস্ত্রোপচার করে থাকেন।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
ধৃত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি তিনি দু’টি ক্লিনিক থেকে ৬২৫টি চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওষুধও। পুলিশের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে শুধু এই দুটোই নয়, ওই ক্লিনিকটির আরও বেশ কিছু শাখা গোটা থাইল্যান্ডে ছড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতে সেই শাখাগুলিতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
দ্বিতীয় ক্লিনিক টি থেকে পাওয়া গিয়েছে বুটক্স করার বিভিন্ন ইনজেকশন এবং লেজার চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৭ বছর বয়সী এক মহিলাকে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৫টি বোটক্স ফিলারের বোতল এবং প্রচুর পরিমাণ ওষুধ।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পুলিশকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই এই অঞ্চলে বেআইনি কসমেটিক সার্জারি চলছে বলে খবর পাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি এখানে যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে লিঙ্গোত্থান করা হত, বাস্তব জীবনে তার কোনও বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত উপকারিতা নেই। তাঁর কথায়, যেকোনো ধরনের কসমেটিক সার্জারি ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়ে হলেও নকল সামগ্রী ব্যবহার করে কিংবা লাইসেন্সহীন ব্যক্তিদের দ্বারা এই ধরনের কাজ করা যায় না। নকল ডাক্তার সেজে অনেকেই এই ধরনের প্রতারণা চক্র চালাচ্ছেন বলেও জনসাধারণকে সতর্ক করেন তিনি। পুলিশকর্তার দাবি অপটু হাতে এই ধরনের অস্ত্রোপচার করলে ভয়ানক সংক্রমণ ছড়াতে পারে দেহে যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
