শীতকালে বা ঠান্ডা-লাগা অবস্থায় সাইনাস ইনফেকশনের সমস্যা বেড়ে যায়। নাক বন্ধ হয়ে আসা, ঘন শ্লেষ্মা জমে থাকা, মাথায় চাপ, মুখে ব্যথা-এসব উপসর্গ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তোলে। অনেকে সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে ঠান্ডার সময়ে এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।
2
9
সাইনাসে ওষুধের পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতেও ভরসা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে পাঁচটি গরম পানীয় পান করলে চটজলদি স্বস্তি পাবেন।
3
9
আদা চাঃ আদা চা শুধু শুধুই স্বাদে নয়, সাইনাসের চিকিৎসাতেও সমান কার্যকর। আদার প্রদাহ-নিয়ন্ত্রক উপাদান গিঞ্জারল নাকের ভিতরের ফোলাভাব কমায়। গরম আদা চা শ্লেষ্মা নরম করে দেয়, ফলে তা সহজে বের হয়ে আসে। বিশেষজ্ঞরা দিনে ২–৩ বার আদা চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
4
9
পিপারমিন্ট চাঃ পিপারমিন্টের মেন্টহল নাকের পথ খুলে দিতে দারুণ কাজ করে। এর ঘ্রাণ যেমন শরীরকে সতেজ রাখে, তেমনি গরম চায়ের বাষ্প নাকের বন্ধভাব দূর করে। নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হলে রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ পিপারমিন্ট চা অনেকটা স্বস্তি এনে দেয়।
5
9
গরম জল ও মধুঃ গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গলায় আরাম আসে এবং শ্লেষ্মা পাতলা হয়। ঠান্ডা, সাইনাস বা গলা ব্যথার সময় এই পানীয় দ্রুত আরাম দেয়। সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে উপকার বেশি পাবেন।
6
9
হলুদ দুধঃ হলুদের কুরকুমিন প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে পরিচিত। গরম দুধে সামান্য হলুদ ও এক চিমটি গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে সাইনাসের ভিন্ন ধরনের চাপ, নাক বন্ধভাব এবং গলার জ্বালা কমে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
7
9
গরম সবজি স্যুপ বা বা চিকেন ব্রথঃ যাদের ঠাণ্ডা-লাগা অবস্থায় শক্ত খাবার খেতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য ব্রথ দুর্দান্ত বিকল্প। গরম ব্রথের বাষ্প সাইনাস খুলে দেয়, একইসঙ্গে শরীরে জল ও পুষ্টির জোগান দেয়। চিকেন বা সবজি, যে কোও ব্রথই সাইনাস ইনফেকশনে কার্যকর।
8
9
কেন গরম পানীয় এত উপকারী?গরম তরল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং সাইনাসের পথ খুলে দেয়। এর সঙ্গে আদা, হলুদ, পিপারমিন্টের মতো প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত হলে তা প্রদাহ কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়।
9
9
যদিও এসব পানীয় উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু জ্বর, মুখ ফোলা, তীব্র মাথাব্যথা বা ঘন রঙের শ্লেষ্মা দীর্ঘদিন থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।