জুলাই, ২০২৪। কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। পরিস্থিতি বিচারে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন মুজিব কন্যা। ২০২৪ এর আগস্ট মাসে দেশ ছাড়েন হাসিনা। ২০২৫ এর নভেম্বর মাস। দীর্ঘ সময়কালে ভারতেই থেকে গিয়েছেন তিনি।
2
8
২৯ অক্টোবর, দিল্লিতে বসেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, তিনি ওপার বাংলার লক্ষ লক্ষ ভোটারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামিল না হওয়ার কথা বলেছিলেন।
3
8
সম্প্রতি অপর এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। হাসিনার বিরুদ্ধে, আন্দোলনকালে হত্যাকাণ্ডের দায়ে মামলা চলছে। এর আগে যদিও ওই দায় এড়িয়েছিলেন তিনি, তবে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে পুনরায় এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন তিনি।
4
8
সাক্ষাৎকারে হাসিনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ যে মামলা চলছে, তাতে কী মতামত তাঁর? সূত্রের খবর, উত্তরে হাসিনা জানিয়েছেন, 'আমি স্পষ্টভাবে আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছি। আমি জনতার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলাম এই দাবির সমর্থনে কোনও প্ররোচনামূলক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।'
5
8
সঙ্গেই তিনি বলেন, তিনি বারবার ইউনূস প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন যে, তারা যেন এই অভিযোগগুলি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মতো একটি নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে, যেখানে বিচার ন্যায্যভাবে করা যেতে পারে এবং যথাযথ আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থাকতে পারে।
6
8
ওই সাক্ষাৎকারেই হাসিনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২০২৪ সালে বিক্ষোভে যোগদানকারী ছাত্র এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালানোর নির্দেশ তিনিই সরাসরি দিয়েছিলেন কি? উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের বক্তব্য, মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপনা করা হয়।
7
8
সূত্রের খবর, হাসিনা জানিয়েছেন, হত্যালীলায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলেন এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে একই সঙ্গে হাসিনা জানিয়েছেন, সহিংসতা মোকাবিলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য অবশ্যই ভুল করেছেন। তারপরেই তিনি জানান, তিনি কোনও সময়েই নিরাপত্তা বাহিনীকে জনতার উপর গুলি চালানোর অনুমতি দেননি।
8
8
হাসিনা সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় তিনি দুঃখিত। তিনি বলেন, ' ঢাকার রাস্তাগুলি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল, পরিস্থিতি সহিংস ছিল। আমাদের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল প্রাণহানি কমানো এবং সংবিধান রক্ষা করা।' তিনি বলেন, 'প্রথম মৃত্যুর পরের দিনগুলিতে, আমরা আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত প্রতিষ্ঠা করি। ইউনূসের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনগুলিতে এই তদন্তটি ভেঙে দেয়।'