বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীতে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ক্যানসার। ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ক্যানসার সাধারণত ধূমপান, মদ্যপান এবং অনিয়মিত জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর বাইরে এমন কিছু নীরব ঝুঁকি ফ্যাক্টর রয়েছে যা শরীরে ক্যানসারের পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করে। এগুলো প্রাথমিকভাবে লক্ষণহীন থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে।
2
8
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহঃ অতিরিক্ত ওজন, মেটাবলিক সিনড্রোম, দাঁতের সংক্রমণ ও দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ক্রমশ প্রদাহ কোষের ক্ষতি ঘটায় এবং ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়।
3
8
হরমোন-বিকৃতিকারী রাসায়নিকঃ প্লাস্টিক, কীটনাশক ও প্রসাধনীতে থাকা কিছু রাসায়নিক হরমোনের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে স্তন, প্রোস্টেট ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
4
8
অনিদ্রা ও শিফট কাজঃ শিফট কাজ, ঘুমের অভাব এবং নিয়মিত আলোতে থাকা শরীরের সার্কেডিয়ান ছন্দে বিঘ্ন ঘটায়। এর ফলে ডিএনএ মেরামত ও কোষ চক্রে সমস্যা হয়, যা স্তন ও কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
5
8
অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতাঃ ফুসোব্যাকটেরিয়াম নিউক্লিয়াটাম-এর অতিরিক্ত বৃদ্ধি অন্ত্রে ক্যানসারের জন্য পরিবেশ তৈরি করে। এটি কোলোরেক্টাল, লিভার ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
6
8
বায়ুদূষণঃ বায়ুর ক্ষুদ্র কণিকা ফুসফুসে প্রবেশ করে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে। দীর্ঘদিন দূষিত বাতাসে থাকলে ধূমপান না করেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
7
8
ভাইরাল সংক্রমণঃ এইচভিপি, এইচবিভি ও ইবিভি ভাইরাস কোষের ডিএনএ-তে প্রবেশ করে টিউমার-প্রতিরোধী প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করে। বছরের পর বছর লক্ষণহীন থাকলেও পরে সার্ভিকাল, লিভার বা নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
8
8
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীরব ঝুঁকি ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে সচেতন হয়ে জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।