গ্রীষ্মকালে রক্তের আকাল দেখা দেয়। বিভিন্ন এলাকায় রক্তদান শিবির করে রক্তের জোগান সচল রাখতে হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেই সব শিবিরে রক্তদাতাদের দেওয়া হয় নানা উপহার। কিন্তু এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি রক্তদানের মাধ্যমে বাঁচিয়েছেন ২৪ লক্ষ শিশুর প্রাণ।
2
8
কথা হচ্ছে জেমস হ্যারিসনকে। ১৮ বছর বয়স থেকে রক্তদান করা শুরু করেন। তারপর থেকে টানা ৬৩ বছর রক্তদান করেন। ৮১ বছর বয়স হওয়ার পর রক্তদান করা বন্ধ করে দেন জেমস। অবশেষে ৮৮ বছর বয়সে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
3
8
জেমসের যখন ১৪ বছর বয়স, সেই সময় তাঁর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার হয়। সেজন্য তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। সুস্থ হয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা নেন সমাজের প্রতি তিনি এই অবদান ফিরিয়ে দেবেন।
4
8
সংবাদ সংস্থা বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, হ্যারিসনের রক্ত ছিল অনন্য। বিশেষ কিছু অ্যান্টিবডির উপস্থিতিই তাঁর রক্তকে করেছে বিশেষ। তাঁর রক্তে থাকা রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি হত ‘অ্যান্টি-ডি’ নামের এক ধরনের ইনজেকশন।
5
8
এই ইঞ্জেকশনটি রিসাস রোগের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই রোগের জেরে গর্ভবতী মহিলার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডি শিশু শরীরের রক্তকণিকাকে ধ্বংস করে। যার ফলে শিশুর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সেই রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নিত হ্যারিসনের রক্ত।
6
8
জীবদ্দশায় বহুবার রক্ত দিয়েছেন জেমস। কিন্তু ৬০ বছর ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে কী করে রক্ত দিয়েছেন ওই ব্যক্তি?
7
8
চিকিৎসকরা জেমসের রক্ত থেকে প্লাজমা বের করে নিতেন। তার পর লাল রক্ত কণিকা ফিরিয়ে দেওয়া হত তাঁর শরীরে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্যই এত দিন ধরে বিপন্ন শিশুদের জীবন বাঁচানোর জন্য নিজের রক্ত দিতে পেরেছেন জেমস।
8
8
তাঁর দেওয়া রক্তের জন্যই জীবন বেঁচেছে ২৪ লক্ষেরও বেশি অস্ট্রেলিয় শিশু। এই কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম’ নামে।