আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে পারে। কিছু ঘরোয়া পানীয় রয়েছে যা নিয়মিত সেবন করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
2
10
গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ক্যাটেচিন থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল বা 'লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন' কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বা 'হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন' বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করা উপকারী কোলেস্টেরল কমাতে।
3
10
লেবু-গরম জল: সকালে খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে অর্ধেক বা একটি গোটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং মেটাবলিজম বা বিপাকহার বাড়ায়। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
4
10
মেথি ভেজানো জল: এক চামচ মেথি বীজ সারারাত এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই জল পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়। মেথিতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
5
10
আমলকীর রস: আমলকী ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাজা আমলকীর রস (২০-৩০ মিলি) সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে পান করা যেতে পারে।
6
10
আদা-রসুন-লেবুর মিশ্রণ: আদা, রসুন এবং লেবু—এই তিনটি উপাদানই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এক চামচ আদার রস, এক চামচ রসুনের রস এবং এক চামচ লেবুর রস এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
7
10
ধনেবীজ ভেজানো জল: দুই চামচ ধনে বীজ এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল ছেঁকে পান করলে কোলেস্টেরলের সমস্যা কমে। ধনিয়া বীজ হাইপোলিপিডেমিক গুণ সম্পন্ন, অর্থাৎ মেদ ঝরাতে সহায়ক।
8
10
ওটসের দুধ বা ওটমিল: ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে খুবই কার্যকর। ওটস জলে বা দুধে (কম ফ্যাটযুক্ত) ফুটিয়ে পাতলা পানীয় তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
9
10
টমেটোর রস: টমেটোতে লাইকোপিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বাড়িতে তৈরি তাজা টমেটোর রস (লবণ ও চিনি ছাড়া) পান করা স্বাস্থ্যকর।
10
10
তবে মনে রাখবেন, এই ঘরোয়া পানীয়গুলি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলো কোনওটিই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে খাওয়া উচিত নয় বা চিকিৎসার বিকল্পও নয়।
