সম্প্রতি রেকর্ড উচ্চতা ছোঁয়ার পর আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া বাজারে সোনা ও রুপোর দামে কিছুটা স্থিরতা দেখা দিয়েছে। টানা শক্তিশালী অবস্থানের পরে এই সংশোধন বিনিয়োগকারীদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এটি কি নতুন করে কেনার সুযোগ।
2
8
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক দরপতন মূলত কারিগরি কারণেই হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যায়, গত এক সপ্তাহে সোনা ও রুপোর দামে অস্বাভাবিক দ্রুত উত্থান হয়েছিল, যার ফলে বাজার ‘ওভারবট’ অবস্থায় পৌঁছে যায়।
3
8
সেই পরিস্থিতিতে লিভারেজড লং পজিশনগুলিতে চাপ তৈরি হয় এবং বিনিয়োগকারীরা লাভ তুলে নেওয়ায় দাম কিছুটা নেমে আসে। এর ফলে মোমেন্টাম সূচকগুলিও স্বাভাবিক স্তরে ফিরে এসেছে।
4
8
দেশীয় বাজারে যদিও বড়সড় পতন দেখা যায়নি। বিভিন্ন ক্যারেটের সোনার দামে মোটের উপর স্থিতাবস্থা বজায় ছিল। রুপোর দামে সামান্য দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেলেও তা ছিল সীমিত পরিসরে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দ্রুত বিক্রির ইঙ্গিত নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারের সতর্ক মনোভাবের প্রতিফলন।
5
8
আগামী বছরেও সোনা একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর ইনভেস্টমেন্ট হিসেবেই থাকবে। অর্থনীতি, অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ধারাবাহিক ক্রয়ের কারণে সোনার ভিত্তি এখনও শক্ত। অন্যদিকে, রুপোর সম্ভাব্য গতি বেশি হলেও শিল্প চাহিদার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় এর অস্থিরতাও তুলনামূলক বেশি।
6
8
সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে রয়েছে অতিরিক্ত লং পজিশন এবং ছুটির মরশুমে তুলনামূলক কম লেনদেন। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী পজিশন কমাতে বাধ্য হয়েছেন। রাজনৈতিক উত্তেজনা কম দামের স্তরে সোনা ও রুপোর জন্য সহায়ক হতে পারে।
7
8
২০২৫ সালে রুপো সোনার তুলনায় অনেক বেশি রিটার্ন দিলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রতি এর সংবেদনশীলতা বেশি। ফলে বড়সড় সংশোধনের ঝুঁকিও থাকে। সোনা তুলনায় বেশি স্থিতিশীল এবং আর্থিক ভারসাম্য, মুদ্রার বিশ্বাসযোগ্যতা বা রাজনৈতিক উদ্বেগ বাড়লে চাহিদা বজায় থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
8
8
সার্বিকভাবে বাজার বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমান দরপতন দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে দুর্বল করছে না। বরং সঠিক স্তরে বেছে বেছে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে। ফলে সোনার দাম ২০২৬ সালে আরও বাড়বে সেকথা একবাক্যেই বলে দেওয়া যায়।