বলিউডে এমন কিছু অনস্ক্রিন জুটি আছেন, যাঁরা একসঙ্গে পর্দায় এলেই সৃষ্টি হয় নিখাদ জাদু। শাহরুখ খান আর কাজল ঠিক সেই জুটিরই নাম। তাঁদের রসায়ন, তাঁদের হাসি, চোখের চা উনি সব কিছু মিলিয়ে যেন প্রেমের সংজ্ঞাটাকেই নতুন করে লিখে দিয়েছে এই জুটি।
2
8
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর মুক্তির আজ ২৭ বছর। আর এই বিশেষ দিনে ফিরে দেখা যাক শাহরুখ-কাজলের অনবদ্য ৫টি সিনেমা, যেগুলো শুধু পর্দায় নয়, দর্শকের হৃদয়ে চিরকাল জায়গা করে নিয়েছে।
3
8
বাজিগর (১৯৯৩): শুরুটা হয়েছিল এখান থেকেই। থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমা ছিল দুই অভিনেতার কেরিয়ারের মোড় ঘোরানো কাজ। শাহরুখ এখানে অভিনয় করেছিলেন এক প্রতিশোধপরায়ণ চরিত্রে অজয় শর্মা ও ভিকি মলহোত্রা, যিনি নিজের পরিবারের সর্বনাশ করা ধনী পরিবারের উপর প্রতিশোধ নিতে আসে।কাজল ছিলেন প্রতিপক্ষের কন্যা প্রিয়া চোপড়া। অন্ধকার, ধোঁয়াটে এই প্রেম-প্রতিশোধের গল্পে শাহরুখের ধূসর চরিত্র যেমন দর্শকদের নাড়িয়ে দিয়েছিল, তেমনই কাজলের সঙ্গে তাঁর প্রথম অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি বুঝিয়ে দিয়েছিল এই জুটি বলিউডে ইতিহাস তৈরি করবে।
4
8
দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে(১৯৯৫): বলিউডের রোম্যান্স মানেই ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ তথা ‘ডিডিএলজে’। রাজ আর সিমরনের প্রেমের গল্প আজও ততটাই প্রাণবন্ত, যতটা ১৯৯৫ সালে ছিল। এক ইউরোপ ভ্রমণে দেখা, হাসি-মজা, ভালবাসা, তারপর পরিবারের বাধা সব মিলিয়ে এই সিনেমা হয়ে উঠেছিল সেই প্রজন্মের প্রেমের মানদণ্ড। শাহরুখ-কাজলের রসায়ন, চোখে চোখে বলা ভালবাসা, আর রাজের বিখ্যাত সংলাপ- “বড় বড় দেশোঁ মে অ্যায়সি ছোটি ছোটি বাতেঁ হোতি রহতি হ্যায়, সেনোরিটা” এগুলোই যেন বলিউড রোম্যান্সের চিরন্তন প্রতীক হয়ে গিয়েছে।
5
8
কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) : ২৭ বছর পেরিয়েও এই সিনেমার মাধুর্য অটুট। কলেজ জীবনের দুই বন্ধু রাহুল (শাহরুখ) আর অঞ্জলি (কাজল) -এর গল্প, যা বন্ধুত্বের আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রেমের কথা বলে। করণ জোহরের পরিচালনায় এই সিনেমা প্রমাণ করেছিল প্রেম মানে শুধু ঝলমলে গান আর ফ্যাশন নয়, বরং গভীর সংযোগ, বোঝাপড়া আর হৃদয়ের টান।আজও এই ছবির গান, সংলাপ, এমনকি কাজলের শর্ট হেয়ার আর শাহরুখের হাসি, দর্শকের মনে এক অবিচ্ছেদ্য নস্টালজিয়া জাগিয়ে তোলে।
6
8
কভি খুশি কভি গম (২০০১) : বলিউডের পরিবারের নাটকীয় আবেগ আর ঐতিহ্য এক ছবিতে বাঁধা ‘কভি খুশি কভি গম’। এখানে শাহরুখ-কাজল শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নন, বরং এক বিবাহিত দম্পতি, যাঁদের সম্পর্ক সমাজ, শ্রেণি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বে পরীক্ষিত হয়।তবু তাঁদের হাসিঠাট্টা, ভালোবাসা, পারস্পরিক বোঝাপড়া সবই প্রমাণ করে দেয়, সময় যতই বদলাক, শাহরুখ-কাজলের কেমিস্ট্রি একইরকম মায়াময়।
7
8
মাই নেম ইজ খান (২০১০): এই ছবিতে তাঁদের প্রেমের রূপ একেবারেই ভিন্ন। এখানে রিজওয়ান খান (শাহরুখ) একজন অটিজম-আক্রান্ত মানুষ, যিনি প্রেমে পড়েন মন্দিরা (কাজল)-র, এক একলা মা ও বিউটি স্যালনের মালকিনের। ৯/১১-র ঘটনার পর তাঁদের জীবন উলটপালট হয়ে যায়। ছবির কেন্দ্রে রিজওয়ানের যাত্রা মানবতার, ক্ষমার আর ভালবাসার। এখানে শাহরুখ-কাজলের অভিনয় প্রমাণ করে দেয়, তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন কেবল প্রেমের গানেই নয়, বরং মানবিক অনুভূতির গভীরতাতেও সমান শক্তিশালী।
8
8
‘বাজিগর’ থেকে ‘মাই নেম ইজ খান’।শাহরুখ-কাজলের যুগলবন্দি শুধু সিনেমা নয়, একটা আবেগ। সময়ের স্রোতে বদলে গেছে গল্প, ফ্যাশন, প্রজন্ম কিন্তু এই জুটির জাদু আজও ততটাই অমলিন।