কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে বাঙালির ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হয় ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতীয়া। যা রাজ্যের বাইরে ভাইদুজ নামেও পরিচিত। মূলত দ্বিতীয়াতেই ভাইফোঁটা দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে অনেকে প্রতিপদেও ভাইফোঁটা দেন। ভাই-দাদা-র কপালে চন্দন, কাজল দইয়ের ফোঁটা দিয়ে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বোন বা দিদিরা মঙ্গল কামনা করেন। সঙ্গে থাকে পাঁচ রকমের মিষ্টির থালা।
2
7
ভাই-দাদা যতই স্বাস্থ্যসচেতন হন না কেন, ভাইফোঁটার দিন বাদ সব ক্যালোরির হিসাব-নিকেশ! ভাইয়ের পাতে সাজানোর জন্য তো আর যে-সে মিষ্টি দিলে হবে না। আর ডায়েবেটিস থাকলে তো আর কথাই নেই! মিষ্টিতে একঘেয়েমি চলবে না, পছন্দ অনুযায়ী থালা না সাজালে চরবে খুনসুটির পারদ। সেক্ষেত্রে চেনা মিষ্টির বদলে পাতে রাখতে পারেন কী কী খাবার? জেনে নেওয়া যাক-
3
7
কেক- দাদা বা ভাইয়ের ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে পাতে রাখতে পারেন লোভনীয় পেস্ট্রি। অতিরিক্ত ক্রিম পছন্দ না হলে ফ্রুট কেকও দিতে পারেন।
4
7
পায়েস: নিজের হাতে রান্না করা পায়েস রাখতে পারেন দাদা বা ভাইয়ের জন্য। চাল, সিমুই বা সুজি যে কোনও ধরনের পায়েস বানিয়ে রাখুন ভাইফোঁটার থালায়।
5
7
নোনতা: মিষ্টির বদলে চিকেন বা ভেজ প্যাটিসের আইটেমও রাখতে পারেন প্লেটে। আজকাল যে কোনও দোকানেই পেয়ে যাবেন এই ধরনের খাবার। এছাড়াও নিমকি, ভুজিয়া বা চানাচুরও মন্দ নয়।
6
7
ড্রাইফ্রুটস: ড্রাইফ্রুটস বেশ ভাল একটি বিকল্প পছন্দ। ভাইভোঁটার থালায় রাখতে পারেন কাজু, কিশমিশ, আখরোট, খেজুর ইত্যাদি।
7
7
চকোলেট: চকোলেট মোটামুটি সকলেরই প্রিয়। মিল্ক চকোলেট বা ডার্ক চকোলেট রাখতে পারেন ভাইদের জন্য। যাঁরা চকোলেট খেতে ভালবাসেন না তাঁদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল রাখা যেতে পারে।
