সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতীয়দের জন্য নতুন গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে। যেই ভিসা পেতে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। বিশ্বব্যাপী অনেকেই এই ধরণের সুযোগের সন্ধান করে থাকেন। যদি আপনি উন্নত পরিষেবা, দীর্ঘমেয়াদী বসতি স্থাপন অথবা ব্যাকআপ পাসপোর্ট খুঁজছেন তাহলে বেশ কয়েকটি দেশ আকর্ষণীয় আবাসন এবং নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম অফার করে। এখানে সাতটি বিকল্প দেশের খোঁজ দেওয়া হল। তার পাশাপাশি, দেশগুলিতে নাগরিকত্ব পেতে খরচ, সুযোগসুবিধা এবং কী কী বিষয় মাথায় রাখা দরকার তার বিবরণ দেওয়া হল।
2
4
প্যারাগুয়ে: সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং দ্রুততম আবাসিক বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। ভারতীয়দের জন্য কম খরচে প্যারাগুয়ে একটি অসাধারণ বিকল্প। প্যারাগুয়ের একটি ব্যাংকে ৪.১৫-৫ লক্ষ (৫০০০-৬০০০ মার্কিন ডলার) টাকা জমা দিয়ে অথবা একটি ছোট স্থানীয় ব্যবসায় বিনিয়োগ করে স্থায়ী আবাসিক হওয়া যেতে পারে। অনুমোদনের পেতে সাধারণত তিন-ছয় মাস সময় লাগে। তিন বছর ধরে সেখানে বসবাসের আবেদনকারীরা প্যারাগুয়ের নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য হয়ে ওঠেন। যা দক্ষিণ আমেরিকার অসংখ্য দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করে।
3
4
ভিয়েতনাম: নতুন ১০-বছরের গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছে ভিয়েতনাম। এই প্রোগ্রামে ৩-৫ বছরের ভিসার জন্য ১ কোটি টাকা (১২০,০০০ ডলার) অথবা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ-সহ ১০ বছরের ভিসার জন্য ৩৩ কোটি টাকা (৪ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করতে হবে। সফল আবেদনকারীরা ভিয়েতনামে বসবাস, কাজ এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। পাঁচ বছর পর, তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভিয়েতনাম দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয় না ফলে ভারতীয় পাসপোর্ট ত্যাগ করতে হবে।
4
4
হাঙ্গেরি: অতিথি বিনিয়োগকারী আবাসন প্রোগ্রামের আওতায় রিয়েল এস্টেট তহবিলে ২.২৫ কোটি (২৫০,০০০ পাউন্ড) টাকা অথবা পাবলিক ট্রাস্ট দান হিসেবে ৯ কোটি (১ মিলিয়ন পাউন্ড) টাকা বিনিয়োগের করে ১০ বছরের নবীকরণযোগ্য আবাসনের সুবিধা প্রদান করে। এই ভিসা শেনগেন জোনে প্রবেশাধিকার প্রদান করে এবং তিন বছর স্থায়ী বসবাস এবং আট বছর পর নাগরিকত্বের সুবিধা প্রদান করে।