২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ২০২৬ সালের দিকে এগোতে গিয়ে আবারও বিশ্বজুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন কিংবদন্তি ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গা। অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল থেকে শুরু করে ভিনগ্রহী প্রাণের সঙ্গে মানবজাতির যোগাযোগ—তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো নতুন বছরের প্রাক্কালে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল ও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
2
9
বাবা ভাঙ্গার সবচেয়ে আলোচিত পূর্বাভাসগুলোর একটি হল বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে। তার মতে, ২০২৬ সালে বিশ্ব এক গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে। ব্যাঙ্ক ধস, আর্থিক অস্থিরতা ও লাগামছাড়া মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
3
9
এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকবেন বলে তার ধারণা। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সোনার দাম ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন তার অনুসারীরা।
4
9
প্রাকৃতিক দুর্যোগও তার ভবিষ্যদ্বাণীর একটি বড় অংশ। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, ২০২৬ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও চরম জলবায়ু বিপর্যয়ের ঘটনা পৃথিবীর প্রায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ স্থলভাগকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
5
9
প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, বাবা ভাঙ্গা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের দ্রুত ও শক্তিশালী উত্থানের কথা বলেছিলেন। তার মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে এআই মানবজীবন ও শিল্পক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলবে। এই অগ্রগতি মানবজাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জও হয়ে উঠতে পারে এমন সতর্কবার্তাও তিনি দিয়েছিলেন।
6
9
রাজনীতির দিক থেকে তিনি রাশিয়া থেকে এক শক্তিশালী নেতার উত্থানের ইঙ্গিত দেন, যিনি বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। একই সঙ্গে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেন, বিশেষ করে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে উত্তেজনার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
7
9
সবচেয়ে চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণীটি হল ভিনগ্রহী যোগাযোগ। বাবা ভাঙ্গার দাবি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের নভেম্বরে একটি বিশাল মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে এবং মানুষের সঙ্গে ভিনগ্রহী প্রাণের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হতে পারে।
8
9
এছাড়া তিনি জ্বালানির গুরুত্ব বাড়ার কথাও বলেছিলেন। জ্বালানি সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে টেকসই শক্তির ওপর বিশ্ব নির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে তার বিশ্বাস।
9
9
১৯১১ সালে বুলগেরিয়ায় জন্ম নেওয়া ভ্যাঙ্গেলিয়া পাণ্ডেভা গুশতেরোভা, যিনি বাবা ভাঙ্গা নামে পরিচিত, শৈশবে দৃষ্টিশক্তি হারান। তার মৃত্যুর আগে দেওয়া বহু ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। সে কারণেই “বাল্কানের নস্ত্রাদামুস” নামে পরিচিত এই রহস্যময় নারীর ২০২৬ সালের পূর্বাভাস নতুন করে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।