হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে দৈনন্দিন খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন এই ছয় জিনিস
নিজস্ব সংবাদদাতা
৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১ : ৩১
শেয়ার করুন
1
7
ধমনীর ভেতরে চর্বি, কোলেস্টেরল, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য বর্জ্য জমে শক্ত আস্তরণের মতো স্তর তৈরি হয়, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অ্যাথেরোসক্লেরোসিস বলা হয়। ফল হিসেবে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং হৃদ্যন্ত্রের আরও বিপজ্জনক জটিলতার আশঙ্কা।
তবে জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনলে এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
2
7
প্রথমেই রয়েছে প্রক্রিয়াজাত মাংস। অতিরিক্ত সোডিয়াম ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত হওয়ায় এই খাবারগুলি এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে রক্তনালী বন্ধ করে দিতে পারে।
3
7
দ্বিতীয়ত, বারবার ব্যবহৃত তেলে ভাজা খাবার। ট্রান্স ফ্যাটে ভরপুর হওয়ায় এগুলি শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং ধমনীর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত করে।
4
7
তৃতীয়ত, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়। যেমন—সোডা বা মিষ্টি পানীয়। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে ইনসুলিন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দীর্ঘদিন এভাবে চললে রক্তনালীর নমনীয়তা হারিয়ে যায়।
5
7
চতুর্থত, মাখন, ফুল-ফ্যাট চিজ এবং অন্যান্য পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য। পরিমিত খাওয়া নিরাপদ হলেও অতিরিক্ত গ্রহণ শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাড়িয়ে প্লাক জমা ত্বরান্বিত করে।
6
7
পঞ্চমত, বাজারে পাওয়া প্যাকেটজাত স্ন্যাকস ও ফাস্ট ফুড, যেমন—চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও হিমায়িত খাবার। এদের মধ্যে উচ্চমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট ও লবণ ধমনীর স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
7
7
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই খাবারগুলো কমিয়ে তাজা শাকসবজি, বাদাম, ভালমানের প্রোটিন এবং নিয়মিত ব্যায়াম যুক্ত করলে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।