বলিউডে পরিচিতি পাওয়ার অনেক আগে থেকেই র্যাম্পে তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় নাম। চৌকস ব্যক্তিত্ব, সুদর্শন চেহারা, আর মনভোলানো হাসি—সব মিলিয়ে অর্জুন রামপাল ভারতে পুরুষদের মডেলিংয়ের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিলেন। প্রতিটি র্যাম্প ওয়াকে তিনি শুধু হাঁটতেন না, নিজের উপস্থিতি দিয়ে পুরো মঞ্চটাই দখলে নিতেন।
2
9
বলিউডে পদার্পণ — প্যায়ার ইশক অউর মহব্বত: ২০০১ সালে যখন অর্জুন বলিউডে পা রাখেন, তাঁর ভিতরে ছিল এক চাপা আত্মবিশ্বাস। ‘কথা কম, কাজ বেশি’র দর্শনেই বিশ্বাস রেখেছিলেন অভিনেতা। প্রথম ছবিতেই দর্শক চমকে ওঠেন। এমন সুদর্শন, বলিষ্ঠ নায়ককেই যেন খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা।
3
9
প্রথম স্বীকৃতি (২০০১–২০০২): মডেলিং খ্যাতি দিলেও অভিনয়ে খামতি রাখেননি অর্জুন। ‘দিওয়ানাপন ’ ও ‘দিল হ্যায় তুমহারা’র মতো ছবিতে অর্জুনের অভিনয়ের সংবেদনশীল, কোমল দিকটিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাঁর চরিত্রগুলি দর্শকের মনে দাগ কাটে। এই ছবিগুলি শুধু তাঁর কেরিয়ারের প্রাথমিক ধাপ ছিল না, ভবিষ্যতের ‘সুপারস্টার’ তৈরিতেও এগুলির অবদান অনেক।
4
9
অগ্রজদের সঙ্গে সমানে লড়াই — আঁখেঁ (২০০২): অমিতাভ বচ্চন এবং অক্ষয় কুমারের মতো দুই অভিনেতার সঙ্গে পর্দা ভাগ করা যে কোনও নবীন অভিনেতার জন্যই ভীতিকর হতে পারে। কিন্তু অর্জুন সেখানে দেখিয়েছেন পরিণত অভিনয় ও শক্তিশালী উপস্থিতি। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়—তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।
5
9
নায়ক যখন খল— ডন (২০০৬), ওম শান্তি ওম (২০০৭): এই সময় অর্জুনের কেরিয়ারে আসে নতুন মোড়। বিশেষ করে ‘ওম শান্তি ওম’এ স্মার্ট ভিলেনের চরিত্রে তিনি নজর কাড়েন। অনায়াসে স্টাইল, নাটকীয়তা এবং দৃঢ়তাকে একত্র করেন তিনি। তাই তাঁর অভিনীত চরিত্র মুকেশ মেহরাকে নিয়ে চর্চা হয় আজও।
6
9
ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড — রক অন!! (২০০৮): জো মাসকারেনহাস চরিত্রে অর্জুন শুধু অভিনয় করেননি—তার আবেগ, যন্ত্রণা এবং নীরবতাকে তিনি বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। এই অভিনয় তাঁকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কার।
7
9
পরিণত এবং শক্তিশালী অভিনয় — রাজনীতি (২০১০): ‘রাজনীতি’তে আরও একবার তাক লাগান অর্জুন। অনেতেই মনে করেন. এটি তাঁর কেরিয়ারের একটি বড় মোড়।
8
9
পুরোপুরি বদলে যাওয়া — ড্যাডি (২০১৭): এই ছবির জন্য অর্জুন নিজেকে এমনভাবে বদলে ফেলেন যে প্রথমে দর্শকরা তাঁকে চিনতেই পারেননি। অরুণ গাওলির চরিত্রে তাঁর বাস্তবসম্মত উপস্থাপনা আজও তাঁর অন্যতম সেরা কাজ হিসাবে বিবেচিত।
9
9
ওটিটিতে নতুন অধ্যায় — ২০২০–২০২৪: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অর্জুন নানা সাহসী, স্তরযুক্ত এবং নিরীক্ষামূলক চরিত্রে নতুন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বয়সের সঙ্গে তাঁর অভিনয় আরও পরিণত এবং গভীর হয়েছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন—সত্যিকারের প্রতিভা সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ে যায় না, বরং আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।