মহিলা এবং যাঁরা নিরামিষাশী তাঁদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রবণতা দেখা যায়। থাকে আয়রনের ঘাটতি। ভারতের বিপুল সংখ্যক মহিলা অ্যানিমিক। এটা তখনই হয়, যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে না, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ দেখা দেয় রক্তাল্পতা।
2
7
হু-এর তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বজুড়ে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন মানুষ অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। আর এটি সবথেকে বেশি দেখা যায় মহিলা, মূলত গর্ভবতী মহিলা, শিশু, এবং নিরামিষাশীদের মধ্যে। তবে সঠিক খাবার কিন্তু এটি সারাতেও পারে। না, এটার জন্য কোনও ওষুধ খেতে হবে, এমনটা নয়। বরং এই ৬ পানীয়ের সাহায্যে আপনি স্বাভাবিকভাবেই বাড়াতে পারেন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।
3
7
সবার প্রথমেই থাকবে পালং শাকের রস। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩ মিলিগ্রাম করে আয়রন থাকে। এটি আয়রনের অন্যতম বড় সোর্স। পার্সলে, লেবু দিয়ে পালং শাকের রস বানিয়ে খেলে আয়রনের ঘাটতি তো পূরণ হয়ই, সঙ্গে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
4
7
বিট এবং গাজরের রস ভীষণ উপকারী রক্তাল্পতা কমাতে চাইলে। হিমোগ্লোবিনের পাশাপাশি বোন ম্যারো উৎপাদনেও ভীষণ রকম সাহায্য করে এই দুই সবজির রস। আয়রনের পাশাপাশি, ভিটামিন এ এবং সি থাকে এতে।
5
7
বেদানার কথাটা তো সকলেরই জানা। বেদানার রস হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ভীষণই সাহায্য করে। এই ফলে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল, ফ্ল্যাভিনয়েড, ইত্যাদি। প্রতি ১০০ মিলিলিটার থেকে .৩ থেকে .৫ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
6
7
কুমড়োর বীজ রক্তাল্পতা সারাতে উপকারী। কেবল কুমড়ো নয়, তিল, পেস্তাতেও ভরপুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাট রয়েছে।
7
7
এছাড়া, প্রুন জুসও খেতে পারেন। এক গ্লাস রসে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পরিমাণের আয়রনের ১৭ শতাংশ পূরণ করে দিতে সক্ষম এটি। কেবল রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে যে এটি সেটাই নয়। একই সঙ্গে হজমে সাহায্য করে।