নিজস্ব সংবাদদাতা: অভিনেতা-সাংসদ দেবের অনুরাগীরা অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। 'বহুরূপীর নায়ক-পরিচালক চুপ থাকলেও তাঁর স্ত্রী এবং কাহিনি-চিত্রনাট্যকার জিনিয়া সেন সমাজমাধ্যমেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সংযতভাবে, যুক্তি সাজিয়ে। উল্টো প্রান্ত থেকে কুৎসা তো থামেইনি, বরং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাসানি! ট্রোলাররা কেউ কেউ নিজেদের ‘দেবীয়ান’ বলেও পরিচয় দিয়েছেন। দেব-ভক্ত বলে পরিচয় দেওয়ায় নেটিজেনদের তরফে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে ভবিষ্যতে শিবপ্রসাদ যেন দেবের সঙ্গে একই দিনে প্রেক্ষাগৃহে নিজের ছবির মুক্তির তারিখ ঠিক না করেন। এরপর কৃত্রিম মেধার সাহায্য নিয়ে বিকৃত করা হয়েছে জিনিয়ার ছবি। এবং সেই বিকৃত ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে ‘খাদান’ নায়কের ‘ভক্ত’দের তরফে!  

 

এরপরেই এদিন খ্যাতনামী দম্পতিকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ভবানী ভবন থেকে! সেখানে ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিবপ্রসাদ-জিনিয়া। সমাজমাধ্যমে আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দেব-ভক্তদের 'কর্মকাণ্ড'-এর বিষয়ে নালিশ জানাতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা? উত্তর খুঁজতে জিনিয়া সেন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আজকাল ডট ইন।  কাটা, কাটা, শব্দে স্পষ্টভাবে জিনিয়া বলে ওঠেন, “হ্যাঁ, গিয়েছিলাম ভবানী ভবনে। তারপর রবীন্দ্র সরোবর থানায় গিয়ে পুলিশি অভিযোগ-ও দায়ের করেছি।” শিবপ্রসাদ-পত্নীর অভিযোগটা ঠিক কী? জবাব এল, “কৃত্তিম মেধা ব্যবহার করে যাঁরা আমার ছবি বিকৃত করছেন তাঁদের পরিচয় বের করতে হবে। এবং তারপর অভিযুক্তদের নামে মানহানির মামলা দায়ের করব। পুলিশের তরফে যথেষ্ট আশ্বাস পেয়েছি। বলা হয়েছে, দ্রুত তদন্ত শুরু করবেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের তরফে যা, যা জমা দেওয়ার তা দিয়েছি।”

 

এখনও কি দেবের তরফে কোনও ফোন এসেছে তাঁর অথবা শিবপ্রসাদের কাছে? রাখঢাক না করেই জিনিয়ার জবাব, “না, যে বিশেষ মানুষের  নাম তুললেন, তাঁর তরফে কোনও ফোন পাইনি! যদিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা আমার শুভানুধ্যায়ী, তাঁরা ফোন করেছেন, খোঁজ নিয়েছেন।”