সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার সামীর অঞ্জান সম্প্রতি আশোক পণ্ডিতের শো-তে এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। ঘটনা ঘটে এ আর রহমানের বাড়িতে। বলিউডের এই জনপ্রিয় গীতিকার যখন পৌঁছন রহমানের বাড়িতে, তখন সেখানকার অবস্থা দেখে যারপরনাই অবাক হয়ে যান। রহমানের বাড়ির বাইরের বাইরে সিঁড়িতে ঘুমিয়ে রাম গোপাল বর্মা, লনে দোলনায় আধো-ঘুমে ঢুলছেন সুভাষ ঘাই, বাড়ির অন্দরে গাইছেন আশা ভোঁসলে আর দোতলা থেকে উদিত নারায়ণ ফাজলামোমার্কা কথা ভেসে আসছে — কিন্তু রহমান? তাঁর নিজের বাড়িতে তাঁর-ই কোনও খোঁজ নেই!
ঘটনার মোড় ঘোরে তখনই, যখন এই গীতিকার, পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী এবং প্রযোজক রমেশ তৌরানিকে বলা হয় অন্য একটি জায়গায় যেতে। কোথায়? না, শহরের বাইরে। এদিকে তখন গভীর রাত। সমীরের কথায়, “আমাদের গাড়িতে তুলে বলা হয়, সামনে চলা একটা গাড়ির পিছনে পিছনে যেন চলি। অনেকদূর যাওয়ার পর মাঝরাতে হাইওয়ের ধারে গাড়ি থামে... আর সেখানে একটা লোক লন্ঠন হাতে আমাদের গভীর জঙ্গলের মধ্যে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল, ঠিক যেন ভূতের ছবির শুটিং!” এরপর জঙ্গল পেরিয়ে যখন তাঁরা অপেক্ষাকৃত একটি ফাঁকা জায়গায় পৌঁছান, দেখেন একতা ছোট্ট কটেজের ভিতরে হেডফোন লাগিয়ে আপনমনে কীবোর্ড বাজাচ্ছেন এ আর রহমান!
অবশেষে সবাইকে সেখানে রহমান নিজের তৈরি করা ওই নয়া সুর শোনান এবং বলাই বাহুল্য মুগ্ধ হন সকলে। কিন্তু সেই রাতেই, ঐমুহুর্তে সমীর ঠিক করেন, জীবনে আর কোনওদিনও নয়— এমন রাত জেগে এভাবে রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর পক্ষে দ্বিতীয়বার নেওয়া সম্ভব নয়!
