নিজস্ব সংবাদদাতা: হাসপাতাল থেকে ফেরার পরই 'বিনোদিনী'র প্রচার জোরকদমে শুরু করে দিয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র। তবে এই ভালবাসার সপ্তাহে তিনি শুধুই ব্যস্ত থাকবেন কাজে না কি দেবের সঙ্গে প্রেম দিবসে রয়েছে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা ? প্রেম দিবসে কোন উপহার-ই বা পেলেন রুক্মিণী মৈত্র?
উপহার পাওয়ার কথা শোনামাত্রই সহাস্যে রুক্মিণীর মন্তব্য, “আপাতত চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিকস পেয়েছি, সেগুলো খেয়ে কোনওরকমে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি।” তা টেডি, চকলেট এবং রোজ দিবস-এর মতো বিশেষ সব দিনে কী উপহার পেয়েছেন রুক্মিণী? অভিনেত্রীর জবাব, “দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি টেডি বিয়ার আমি একদমই সহ্য করতে পারি না। কেউ যদি আমার পাশে বড় টেডি বিয়ার নিয়ে বসে আমি বেশ ভয় পেয়ে যাই! তাই নো টেডি। তবে আমি খেতে খুব ভালবাসি। তাই চকোলেট চলতেই পারে...আর হ্যাঁ ফুল উপহার পেলেও আমি খুশি। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে আমায় কেউ অনেককিছু খাওয়ালেই দারুণ খুশি হয়ে যাই। তাই চকলেট ডে-নিয়েও কোনও আপত্তি নেই আমার। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কারও থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার হল সময়, কারণ সেই সময়টাই পরে আর ফিরে পাওয়া যায় না, মুহূর্তগুলোও না। তাই যে তাঁর জীবনের সব ব্যস্ততা কিছুটা সরিয়ে রেখেও তোমায় সময় দিচ্ছে, তার থেকে বড় উপহার আর কিছুই হতে পারে না। তাই ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সেটাই আমার জীবনের সেরা উপহার।”
অভিনেত্রীর কথা থেকেই স্পষ্ট, শত ব্যস্ততার মধ্যেও দেবের থেকে স্রেফ সময়টুকুই চান তিনি। এবং তা পেলে তাতেই দারুণ খুশি রুক্মিণী। সব ব্যস্ততার মধ্যেও একে অপরের সঙ্গে একান্ত সময় কাটান দেব-রুক্মিণী। সময়-সুযোগ বের করেই তাঁরা একসঙ্গে ঘুরতে চলে যান দেশ-বিদেশে। কোনও ছবির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর তো ব্যাগ গুছিয়ে নিমেষে এই শহরকে বিদায় জানিয়ে দূর দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন তাঁরা। নতুন দেশ দেখাও হয়, আবার পরস্পরের সঙ্গে একান্তে সময়ও কাটানো হয়।
