দক্ষিণ থেকে বলিউডে বহু অভিনেতাই ভাগ্য পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু বিদ্যা বালনের মতো স্থায়ী ছাপ খুব কম জনই রাখতে পেরেছেন। টেলিভিশনের 'হম পাঁচ'–এর সেই মিষ্টি মুখ, পরে 'দ্য ডার্টি পিকচার'–এর দাপুটে নায়িকা—এই পথচলাতেই লুকিয়ে আছে অসংখ্য না-শোনা গল্প। বিদ্যা যেমন সাহসী চরিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, তেমনই অকপটে বলেছেন নিজের অভিজ্ঞতার খুঁটিনাটি।

সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা শোনালেন এক কৌতুকমিশ্রিত বিব্রতকর অভিজ্ঞতার কথা। এক অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় এক সহ-অভিনেতা এসেছিলেন সোজা সেটে—কিন্তু ব্রাশ না করে! বিদ্যা জানান, ওই অভিনেতা নাকি চাইনিজ খাবার খেয়ে এসেছিলেন। তাঁর মুখ থেকে রসুন আর সয়া সসের তীব্র গন্ধে নায়িকার প্রায় বেহাল অবস্থা। হেসে বিদ্যা বলেন, “আমি ভাবছিলাম, ওঁর কি কোনও পার্টনার নেই? কেউ মাউথ ফ্রেশনার দিল না?” তবে সে সময় তিনি ছিলেন একেবারেই নতুন, তাই সাহস করে সেই নায়ককে মুখের সুগন্ধী অফার করতেও পারেননি। অবশ্য নায়িকা আজও অভিনেতার নাম প্রকাশ করেননি।
কিন্তু সেটাই বিদ্যা বালনের একমাত্র অভিজ্ঞতা নয়। ২০০৫ সালে পরিণীতা ছবিতেই তাঁকে প্রথম অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে। সে অভিজ্ঞতার স্মৃতিও আজও টাটকা। বিদ্যা ফিরে যান নিজের প্রথম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের স্মৃতিতে। বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি ‘পরিণীতা’-তে সেই দৃশ্যটি ছিল সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে। ছবিতে সঞ্জয় ছিলেন 'গিরিশ', আর বিদ্যা ছিলেন ‘ললিতা’।
বিদ্যা বলেন, “সঞ্জয় দত্ত সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সকালে এসে বললেন, ‘বিদ্যা, আমি খুব নার্ভাস। বুঝতে পারছি না এটা কীভাবে করব?’ শুনে তো আমি থ! আমি তখন ভাবছি, এ তো সঞ্জয় দত্ত। এত বড় তারকা! আর উনি নার্ভাস? সেটা শুনেই হাসি পাচ্ছিল। উনি তো সবদিক থেকেই ‘অভিজ্ঞ’!”
কিন্তু এরপরেই বিদ্যা বুঝেছিলেন—এই ‘নার্ভাস’ অভিনয়টা সঞ্জয় করছেন শুধু ওঁকে স্বচ্ছন্দ করে তোলার জন্য। “ওটা ওঁর উদারতা ছিল। আমার প্রথম ঘনিষ্ঠ শুটিংয়ের দৃশ্য ছিল ওটা, আমি তো ভীষণ অস্বস্তিতে ছিলাম। কী করব, কিছু বুঝছিলাম না। মনে হচ্ছিল, নিজের খুব গোপন একটা অংশ সবাইকে খুলে দেখাচ্ছি! সঞ্জয় তখন নিজের অভিজ্ঞতা গোপন রেখে আমাকেই হালকা করার চেষ্টা করলেন।”আর এখানেই শেষ নয়! সিন শেষ হওয়ার পর সঞ্জয় নিজে এসে খোঁজ নিয়েছিলেন বিদ্যার—“শেষে এসে দরজায় টোকা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি ঠিক আছিস তো?’ আমি বললাম, ‘একদম।’ তখন তিনি কপালে চুমু এঁকে দিয়ে বললেন, ‘তাহলে ভাল’। সেই মুহূর্তটা আমি কোনওদিন ভুলব না।”বিদ্যা শেষে মজা করে বলেন, “ আর হ্যাঁ, ওঁর শরীর থেকে কিন্তু সুন্দর গন্ধও বেরোচ্ছিল!”
